বিজেপিকে ঠেকাতে বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল জোট! একুশের আগে চড়ছে জল্পনার পারদ
বিজেপি-বিরোধী ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলিকে সুসংহত করার লক্ষ্যে সোনিয়া গান্ধী বিজেপি বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন।
বিজেপি-বিরোধী ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলিকে সুসংহত করার লক্ষ্যে সোনিয়া গান্ধী বিজেপি বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধার সম্পর্ক সামনে এসেছে, তা নিয়ে বাংলার রাজনীতিতেও নতুন সমীকরণের চর্চা চলছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন গুরুত্বের আসনে
বুধবার সোনিয়া গান্ধীর সভাপতিত্বে বৈঠকে যোগ দেওয়া সাত মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন গুরুত্বের আসনে। তাঁরা ঐক্যবদ্ধভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বৈঠকে। সোনিয়া প্রথমে মমতাকে বৈঠকে পৌরহিত্য করার আর্জি জানান। তারপর মমতা বলেন, প্রবীণ নেত্রী হিসেবে সোনিয়া গান্ধীর উচিত পৌরহিত্য করা।
পারস্পরিক সম্মান প্রদর্শনে জোটের সম্ভাবনা
পারস্পরিক সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে বৈঠকের যে সূত্রপাত হয়েছিল, তাতে কংগ্রেস ও তৃণমূল ফের একজোট হতে পারে বাংলাতেও এমনটা মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টা হলেও, রাজ্যে এসে তৃণমূলকে নিশানা করেন রাহুল। আর মমতাও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বরাবর তোপ দেগে চলেছেন।
বিজেপি বিরোধী জোট গড়ে তোলার প্রয়াস
এবার লড়াই রাজ্যে। আর রাজ্যে তৃণমূলের বিরোধী শক্তি হিসেবে বর্তমানে উত্থান হয়েছে বিজেপির। ২০১৯-এ তারা প্রবলতর শক্তি হিসেবে রাজ্যে উঠে এসেছে। এখন তাদের রুখতে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিগুলি এক হতেই পারে। যেভাবে কেন্দ্রীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী জোট গড়ে তোলার প্রয়াস হয়েছে, সেই প্রয়াস চলতেই পারে বাংলাতেও।
কংগ্রেস এবং সিপিএম নেতাদের দাবি
পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস এবং সিপিএম নেতারাও এখন দাবি করছেন যে সোনিয়া গান্ধীর সভাপতিত্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে অংশ নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা আসলে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে বিজেপি-বিরোধী ধর্মনিরপেক্ষ অবস্থানকে সুসংহত করার প্রচেষ্টায়।
তৃণমূল রাজ্যের কংগ্রেসকে নিয়ে ভাবতে নারাজ
আর তৃণমূল নেতারা বলছেন, এটি বিরোধী সমস্ত রাজ্যের জন্য একটি সাধারণ অ্যাজেন্ডা। তৃণমূল নেতৃত্ব রাজ্যের কংগ্রেসকে নিয়ে ভাবতে নারাজ। বাংলায় কংগ্রেস আর সিপিএম দুই ডুবন্ত তরী হাত ধরাধরি করে ডুবতে চলেছে। সেখানে কংগ্রেস কী করবে, তা নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই। সোনিয়া গান্ধী বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিজেপি বিরোধিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবথেকে নির্ভরযোগ্য মুখ।
প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব তৃণমূল প্রসঙ্গে
প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের বার্তার স্পষ্ট, তাদের কথায় জাতীয় রাজনীতির স্বার্থে মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের একজোট করতে চাইছেন সোনিয়া গান্ধী। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থন মিলেছে। তার মানেই এই নয় যে, রাজ্যের সমস্ত বিষয় নিয়ে মমতার সরকারের বিরোধিতা করবে না কংগ্রেস। মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বঙ্গ সিপিএমও বিরোধী অবস্থান নিয়েছে।