দিলীপ ঘোষের বাড়ির পুরোহিত অধীরের বিরুদ্ধে প্রার্থী! জোর জল্পনা রাজনীতির অন্দরে
কংগ্রেসের ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থী অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী দিলীপ ঘোষের বাড়ির পুরোহিত। শুনতে অবাক লাগলেও, এটাই সত্যি।
কংগ্রেসের 'হেভিওয়েট' প্রার্থী অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী দিলীপ ঘোষের বাড়ির পুরোহিত। শুনতে অবাক লাগলেও, এটাই সত্যি। মঙ্গলবার ১০টি কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি, সেখানেই উঠেছে এসেছে বহরমপুরে এবারের প্রার্থী কৃষ্ণ জোয়ারদার আচার্য। একেবারেই নতুন মুখ। তাঁর রাজনৈতিক যোগাযোগ বলতে একটাই- তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বাড়ির পুরোহিত।
অধীরের কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী
এখন প্রশ্ন উঠছে, বহরমপুরের মতো আসনে কেন বিজেপির এমন হালকা প্রার্থী। পোড় খাওয়া মুখ নেই? নাকি অধীর চৌধুরীর কেন্দ্রে বিজেপি অ-রাজনৈতিক ব্যক্তিকে ভোটে দাঁড় করিয়ে প্রকারান্তরে সমর্থন জানাল? রাজনীতির অন্দরে এখন তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
কোন পদ্ধতি মেনে প্রার্থী পুরোহিত
বিজেপি ব্যাখ্যা দিয়েছিল, তাঁরা একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে প্রার্থী স্থির করছেন, তাই তাঁদের দেরি হচ্ছে প্রার্থী ঘোষণা করতে। উল্লেখ্য, তৃণমূল যেখানে ভোট ঘোষণার পর পরই প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছিল একসঙ্গে ৪২ আসনে, তাঁদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি সেখানে প্রার্থীর নাম স্থির করতে ১০ দিন লাগিয়ে দিয়েছিল।
দলছুট না হলে অ-রাজনৈতিক প্রার্থী
যদিও বা দুই কিস্তিতে ৪০ প্রার্থীর নাম সামনে এল, সেখানে নানা বিতর্ক। অধিকাংশই তৃণমূল বা অন্যান্য রাজনৈতিক দলছুট প্রার্থী। আর বহরমপুরে তো দিলীপবাবুর বাড়ির পুরোহিতকেই টিকিট দিয়েছে বিজেপি। পরিস্থিতি এমনই যে, মনে হওয়া স্বাভাবিক লোকসভায় লড়াই করার মতো বিজেপির হাতে প্রার্থী নেই।
যজ্ঞ করে লোকসভার টিকিট
এ কথা স্বয়ং দিলীপ ঘোষই স্বীকার করেছিলেন প্রকাশ্যে। লোকসভায় যোগ্য প্রার্থী খুঁজতে হিমশিম বিজেপি শেষে রাজ্য সভাপতির বাড়ির পুরোহিতকে নিয়ে এলেন রাজনীতি ময়দানে। উল্লেখ্য, মাস দুয়েক আগে দিলীপবাবুর বাড়িতে যজ্ঞ করেছিলেন কৃষ্ণ জোয়ারদার আর্য। সেই সুবাদেই তাঁর টিকিট জুটে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেসে যুক্ত হল গ্ল্যামার, রাহুলের হাত ধরে দলে যোগ উর্মিলার, পাচ্ছেন লোকসভার টিকিট]
জেলা সভাপতিই চেনেন না প্রার্থীকে
আর বিজেপির এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক বাড়িয়েছেন খোজ মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতিই। জেলা সভাপতি গৌরিশঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন, তিনি প্রার্থীকে ঠিকমতো চেনেন না। রাজ্য নেতৃত্বই জানে কে প্রার্থী হয়েছেন। আর এরপরই গেরুয়া শিবিরে উষ্মা তৈরি হয়েছে। যাঁরা এতদিন পার্টিটা করে এল কেন, তাঁদের যোগ্য মনে করল না দল, তা নিয়েও মতানৈক্য তৈরি হয়েছে।
[আরও পড়ুন: অন্যের সাফল্যকে নিজের বলে চালাচ্ছে চাইছেন মোদী! প্রতিক্রিয়া সিপিএম-এর]