দিঘায় বিকট গর্জনের রহস্যভেদ, জানেন কি কেন এমন গর্জন হল সমুদ্রে
প্রশাসন তদন্তে নেমে কূল-কিনারা পায়নি। অনেক পরে সেনার তরফে বিবৃতিতে সামনে এসেছে প্রকৃত কারণ।
দিঘার সমুদ্র সৈকতে বিকট গর্জনের রহস্যভেদ হল অবশেষে। শনিবার বিকট শব্দে কেঁপে ওঠার পরই বিস্ফোরণ-আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছিল দিঘায় বিস্তীর্ণ এলাকায়। অনেকে মনে করেছিল, ওই বিকট শব্দব্রহ্ম ছিল সুনামির পূর্বভাস। দিঘা ও মন্দারমণির সমুদ্র উপকূলে সেই আশঙ্কাই জারি হয়েছিল সতর্কতা। তবে আপাতত সেই আশঙ্কার অবসান ঘটল। জানা গেল ওই আওয়াজ ছিল সুপারসনিক জেটের।
প্রশাসন তদন্তে নেমে কূল-কিনারা পায়নি। অনেক পরে সেনার তরফে বিবৃতিতে সামনে এসেছে প্রকৃত কারণ। জানা গিয়েছে, দিঘার সমুদ্রের উপর খুব কম উচ্চতা দিয়ে সুপারসনিক জেট যাওয়ার কারণেই এই বিকট আওয়াজ। দিঘার সমুদ্রের উপর দিয়ে নিমেষে উড়ে গিয়েছে সুপারসনিক জেট। সুপারসনিক যুদ্ধ বিমানের মহড়ার কারণেই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা।
সুপারসনিক জেটের গতিও সুপারসনিক। সেই গতি ধরা পড়েনি লোকচক্ষুতে। নিমেষের মধ্যেই সুপারসনিক বিমান উড়ে যায় সমু্দ্রবক্ষের খুব কাছ দিয়ে। বায়ুসেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সুপারসনিক বিমানের গতি হয় শব্দের ১.৪ গুণ। আর এই বিমান গেলে শব্দ তরঙ্গের সৃষ্টি হয়। শব্দের সেই অনুরণনে সৃষ্টি হয় ভূ-কম্পনও। বাজ পড়ার মতো ওই শব্দ আরও বৃদ্ধি পায় সমু্দ্রের উপর দিয়ে গেলে।
সেনাসূত্রে জানা গিয়েছে, কলাইকুণ্ডা থেকে চাঁদিপুরের দিকে সুপারসনিক জেটটি উড়ে যায়। এদিন তিনহাজার ফুটের কম উচ্চতা দিয়ে বিমানটি গিয়েছিল। সাধারণত তিন হাজার থেকে ৫০ হাজার ফুট উচ্চতা দিয়ে যায় এইসব সুপারসনিক যুদ্ধবিমান। ডোকলাম বিতর্কের জেরেই এই মহড়া চালানো হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। রহস্যভেদ হওয়ার পর ফের পর্যটকদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হল।