টিউশন থেকে ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার ছাত্রী! তারপর যা ঘটল
অপমান আর লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে ধর্ষণের কথা জানাতে পারেনি ছাত্রীটি। এমনকী মা জিজ্ঞাসা করতেও এই অপমানের কথা জানায়নি, শুধু কেঁদেছিল সে। তারপরই ঘটে গেল নির্মম ঘটনা।
লোকলজ্জার হাত থেকে বাঁচতে মৃত্যুকেই বেছে নিল কিশোরী ছাত্রী। সাত দিন যমে-মানুষে টানাটানির পর রবিবার মৃত্যু হল উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার ওই গণধর্ষিতা ছাত্রীর। এদিন আরজিকর হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার।
[আরও পড়ুন: টাকার লোভে এই কাজও সম্ভব]
ঘটনার সূত্রপাত আটদিন আগে। ২৮ জুলাই রাতে প্রাইভেট টিউশন পড়ে বাড়ি ফিরছিল ছাত্রীটি। তখনই তাকে পাড়ার কতকগুলো যুবক তুলে নিয়ে যায়। তারপর একটি ফাঁকা ঘরে তাকে ধর্ষণ করা হয়। অপমান আর লজ্জায় কাউকে সেই কথা জানাতে পারেনি মেয়েটি। এমনকী মা জিজ্ঞাসা করতেও এই অপমানের কথা জানায়নি, শুধু কেঁদেছিল সে।
পরের দিন নিজের ঘরেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ছাত্রীটি। বাড়ির লোকজন দেখতে পেয়ে যাওয়ায় তাকে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রথমে ভর্তি করা হয় হাবড়া হাসপাতালে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে। সাতদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েও শেষ রক্ষা হয়নি। এদিন মৃত্যু হয় তার।
ওই ছাত্রীটি আগেই বাড়িতে জানিয়েছিল পাড়ারই কয়েকজন ছেলে তাকে বিরক্ত করে। তাকে হুমকি দেয়। কিন্তু তা থেকে যে এই কাণ্ড ঘটে যাবে ভাবতে পারেনি গাইঘাটার ছাত্রীটির পরিবার। তিন যুবকের বিরুদ্ধে গাইঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তরা ঘটনার পর থেকেই পলাতক।