‘মমতাই আমার আদর্শ’, বিলেতের মঞ্চে গর্বিত ঘোষণা, কে এত বড় গুণমুগ্ধ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর
বাংলার সঙ্গে স্কটল্যান্ডের সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক যোগাযোগ আজকের নয়। যে 'মুখবন্ধ' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করে গিয়েছিলেন তাঁর ভাষণে, তারই প্রতিধ্বনি হল স্কটিশ ডেভেলপমেন্ট ইন্টারন্যাশনালের অভ্যর্থনা-সভায়। আবারও বাংলার সঙ্গে স্কটল্যান্ডের গাঁটছড়া বাঁধার সুর ধ্বনিত হল স্কটিশ মন্ত্রী থেকে ভারত নিযুক্ত স্কটল্যান্ডের কনসাল জেনারেলের কথায়।

[আরও পড়ুন:বড় বড় কথা তাঁর না-পসন্দ, শিল্প থেকে শিক্ষার প্রসারে স্কটল্যান্ডকে 'বন্ধু' বানালেন মমতা]
স্কটল্যান্ডের মাটিতে যখন বাংলার বন্দনায় মুখরিত ছিলেন স্কটল্যান্ডের মন্ত্রী থেকে শিল্পপতি, কনসাল জেনারেলরা, তখন মুখ্যমন্ত্রীর মুখে ছিল তৃপ্তির হাসি। এদিন স্কটিশমন্ত্রীরা জানিয়েছেন, বাংলার সঙ্গে দীর্ঘদিনের সেই সম্পর্ক তাঁরা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে। সেই সুযোগ আমাদের সা্মনে এসে পড়েছে। আর সেই সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে বিলেতের মাটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন ভারত নিযুক্ত এডিনবোরার কনসাল জেনারেল অঞ্জু রঞ্জন। তাঁর বক্তব্যের পুরোটাতেই ছিল মমতা-বন্দনা। তিনি যে মমতাকে আদর্শ মানেন তা বুঝিয়ে দিয়ে কনসাল জেনারেল বলেন, 'যাঁকে প্রেরণা মেনেছি, আজ তাঁর সঙ্গে এক মঞ্চ ভাগ করে নিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।'

এদিন তিনি স্মৃতি-রোমন্থন করে বলেন, 'সপ্তম শ্রেণিতে যখন পড়ি, তখন থেকেই আমি আদর্শ মানতাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। হিন্দি বইয়ের একটি অধ্যায়ে আমি তাঁর সম্পর্কে পড়েছিলাম। তারপর থেকেই আামি তাঁর ভক্ত হয়ে যাই। আজকে আমার বলতে দ্বিধা নেই, উনিই আমার প্রেরণা। আজ উনি নিজেকে কোন জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন, তা জেনেই গর্ব-বোধ করি।'
তিনিও কলকাতা তথা বাংলার সঙ্গে স্কটল্যান্ডের ঐতিহাসিক সম্পর্ক নিয়ে বক্তব্য রাখেন। বলেন, 'নতুন করে সম্পর্ক তৈরির দরকার নেই। শুধু যে সম্পর্ক ছিল, তা এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সম্পর্ককে নতুন মাত্রা দিতে হবে। এখনও অনেক স্কটিশ কলকাতায় নাড়ির যোগ খুঁজে পায়।' মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তাঁর আর্জি, 'অনেক স্কটিশের পূর্বপুরুষদের সমাধি রয়েছে কলকাতায়। সেই পরিবারগুলি যাতে কলকাতায় গিয়ে নিজেদের নাড়ির যোগ খুঁজে পায়, তার জন্য একটি হেল্প ডেস্ক তৈরি করার। তাতে সহমত পোষণ করেন মমতা।'