মিষ্টির দোকানে হাজির করোনা সন্দেশ! জনপ্রিয়তায় খুশি মিষ্টি ব্যবসায়ীরা
মিষ্টির দোকানে হাজির করোনা সন্দেশ! জনপ্রিয়তায় খুশি মিষ্টি ব্যবসায়ীরা
করোনা সচেতনতায় বার্তা দিতে এবার বাজারে হাজির শেষ পাতে করোনা সন্দেশ। দোকানের শো-কেসে নানা সন্দেশের সঙ্গে সাজানো ওই মিষ্টি। দেখতে যেন ঠিক করোনাভাইরাস।
সিদ্ধান্ত ছিল দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউনে বন্ধ রাজ্যের সমস্ত মিষ্টির দোকান। কিন্তু এর মাঝেই ২৯ মার্চ হটাৎ সিদ্ধান্ত হয় এবার থেকে খোলা থাকবে মিষ্টির দোকান গুলো। তবে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেন মুখ্যমন্ত্রী। পর থেকেই দুপুর ১২ থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত খোলা থাকছে মিষ্টির দোকান গুলো। অভিনব মিষ্টি পেয়ে খুশি মিষ্টি প্রিয় বাঙালি। দেদার বিকোচ্ছে এই মিষ্টি। মাত্র ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই শোকেস ফাঁকা।
শুধু করোনা সন্দেশই না নয়, করোনা সন্দেশের পাশেই রাখা রয়েছে করোনা কেকও। তারই বিক্রি হার মানিয়েছে অন্যান্যদের।
কলকাতা শহরের প্রসিদ্ধ মিষ্টি ব্যবসায়ী কর্ণধার রবীন পাল জানান, গোটা দেশে আলোড়ন ফেলে দেওয়া করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক এখন সর্বত্র। পুলিশ প্রশাসন তো সচেতন করতেই তার পাশাপাশি বিভিন্ন মাধ্যমে সর্তকতা জারি করা হচ্ছে তার সত্বেও সচেতন হচ্ছে না মানুষ। তাই এই আতঙ্কের আবহে সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে তৈরি করা হয়েছে এই বিশেষ করোনা সন্দেশ ও কেক করা হয়েছে। মিষ্টি খাইয়ে তো বটেই, এমনকি মিষ্টির প্যাকেটেও করোনা সম্পর্কে সচেতনতার বার্তা প্রচার করা হবে বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ী।
এক কারিগর জানান, কখনও পিঙ্ক বলের টেস্ট, কখনও বিশ্বকাপ ফুটবল বা বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মতো আনন্দ মুহূর্তে কাজের উৎসাহ বেড়ে যায় বহুগুণ। কিন্তু এ বার তো চারধার সুনসান, আতঙ্ক আর শুধুই অনিশ্চয়তা। তার মধ্যে নতুন এই মিষ্টি তৈরি করতে তাই এতটুকু আনন্দ ছিল না। বরং সামাজিক কর্তব্য ছিল বলা যেতে পারে। করোনা ভাইরাস মানেই আতঙ্ক। তবে এই করোনা সন্দেশের স্বাদ মানুষকে খুশি করবে বলে আশাবাদী তিনি।
উল্লেখ্য, লকডাউন এর মাঝে মিষ্টির দোকান বন্ধ রাখায় শুধু মিষ্টি ব্যবসায়ীরাই নয়, সমস্যায় পড়েছেন দুধ ব্যবসায়ীরা। এ রাজ্যের মোট উৎপাদিত দুধের বড় অংশ মিষ্টি দোকানে যায়। কিন্তু মিষ্টির দোকান বন্ধ থাকায় সেই চাহিদা প্রায় শূন্যের কোঠায় এসে ঠেকেছে। এই কারণে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণে দুধ নষ্ট হচ্ছিল। যার জেরে বিপুল লোকসানের মুখে পড়েছে রাজ্যের ডেয়ারি শিল্প। একইভাবে মিষ্টির দোকান বন্ধ থাকায় এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত লোকজনও সমস্যার মধ্যে পড়েছিলেন। এই পরিস্থিতিতে তৎপর হয়েই মিষ্টির দোকান গুলো চালু করার উদ্যোগ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়