নন্দীগ্রামে বাধা শুভেন্দুকে, তিন আইপিএসের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে লিখলেন কড়া চিঠি
নন্দীগ্রামে বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে তেরঙ্গা যাত্রায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু। শেষে সেই জল গড়াল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতর পর্যন্ত।
নন্দীগ্রামে বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে তেরঙ্গা যাত্রায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু। শেষে সেই জল গড়াল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতর পর্যন্ত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিন আইপিএস অফিসারের নাম করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিলেন তিনি।
নিজের বিধানসভা ক্ষেত্রে এদিন হর ঘর তেরঙ্গা অভিযানে নেমেছিল বিজেপি। কিন্তু পুলিশ সেই মিছিলে বাধা দেয়। সরকারিভাবে ওই কর্মসূচির কোনও অনুমতি নেই বলে মিছিল আটকানো হয়। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়ে তিনি তিন অফিসারের নামে নালিশ জানান।
ভারতের স্বাধীনতা দিবসের ৭৫ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কেন্দ্রী সরকার হর ঘর তেরঙ্গা কর্মসূচি নিয়েছে। আগমী ১৩ থেকে ১৫ অগাস্ট দেশজুড়ে বাড়ি বাড়ি জাতীয় পতাকা উত্তোলনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গোটা দেশের মতো এ রাজ্যেও একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। তেমনই একটি কর্মসূচিতে এদিন নন্দীগ্রামে 'হর ঘর তেরঙ্গা' মিছিল বের করে বিজেপি।
শুক্রবার সকালে খেজুরি তেখালি ব্রিজ থেকে রেয়াপাড়া পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার জাতীয় পতাকা নিয়ে বাইক ব়্যালির আয়োজন করেছিল বিজেপি। এদিন দুপুর থেকেই তেখালি ব্রিজের কাছে হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রদ্ধা পাণ্ডের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে। মিছিল আটকালে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় পুলিশের। তারপর মিছিল না করেই ফিরে যান শুভেন্দু।
শুভেন্দু অধিকারী এরপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, তেখালি ব্রিজ থেকে রেয়াপাড়া পর্যন্ত হেঁটে মিছিল করা মুশকিল ছিল। তাই বাইক ব়্যালির আয়োজন করা হয়। আর এই কর্মসূচিতে কোনও রাজনৈতিক স্লোগানও দেওয়া হচ্ছিল না। এই বাইক ব়্যালি থেকে আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বার্তা পৌঁছে দিচ্ছিলাম। কিন্তু আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলেন বাধা দেওয়া হয়।
শুভেন্দু বলেন, এলাকায় কোনও ১৪৪ ধারা জারি করা হয়নি। কোভিডের প্রোটোকল ছিল না, তা সত্ত্বেও পুলিশ বাধা দয়। তিনি জানান, তিনজন আইপিএসের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিছেছি। অভিযোগ জানিয়েছি, প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানের পরেও জনপ্রতিনিধিকে প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না তাঁর নিজের বিধানসভা ক্ষেত্রে।