আনিস খুনে শুভেন্দুর কাঠগড়ায় ২ আধিকারিক! নিচুতলার পুলিশকর্মীদের সাসপেন্ড নিয়ে বিস্ফোরক বিরোধী দলনেতা
আনিস খানের (anish khan) বাবা সালেম খানের (salem khan) সঙ্গে একমত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। এদিন তিনি কাঁথিয়ে বলেছেন ছাত্র নেতাকে খুন করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee)পুলিশই। এই ঘট
আনিস খানের (anish khan) বাবা সালেম খানের (salem khan) সঙ্গে একমত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। এদিন তিনি কাঁথিয়ে বলেছেন ছাত্র নেতাকে খুন করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee)পুলিশই। এই ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারীর কাঠগড়ায় দুই আইপিএস (ips)। পাশাপাশি তিনি নিচুতলার পুলিশকর্মীদের সাসপেনশন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ
এদিন বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেছেন হাওড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ সরকার এবং হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার সৌম্য রায়ের নির্দেশেই আনিস খুন সংগঠিত হয়েছে। প্রসঙ্গ উল্লেখ্য শুক্রবার গভীর রাতের ঘটনার পর থেকেই সরকার বিরোধী অনেকেই হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার এই ঘটনায় সৌম্য রায়কে নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। কেননা সৌম্য রায়ের অপর পরিচয়। তিনি সোনারপুরে তৃণমূল বিধায়ক লাভলী মৈত্রের স্বামী।
নিচুতলার ৩ পুলিশকর্মী সাসপেন্ড
সোমবার সিট গঠন নিয়ে আদেশের পরে গভীর রাতেই আমতা থানায় গিয়ে সেখানকার পুলিশকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছিলেন ডিআইজি-সিআইডি অপারেশন মিরাজ খালিদ এবং ব্যারাকপুর কমিশনারেটের যুগ্ম কমিশনার ধ্রুবজ্যোতি দে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, শুক্রবার রাতে কে কোথায় ডিউটিতে ছিলেন তা নিয়েও খোঁজখবর করেন তাঁরা। এরপর সকালে জানা যায় আমতা থানায় এএসআই নির্মল দাস, কনস্টেবল জিতেন্দ্র হেমব্রম এবং হোমগার্ড কাশীনাথ বেরাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কর্তব্যে গাফিলতি এবং খারাপ ব্যবহারের কারণে এঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। তবে শুক্রবার গভীর রাতে কারা আনিস খানের বাড়িতে গিয়েছিল তা অবশ্য এখনও পরিষ্কার নয়।
আইপিএসদের বাঁচানোর চেষ্টা
এব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারীর প্রশ্ন, কনস্টেবল, এএসআইরা কী করবে। তাঁর অভিযোগ, এঁদের তো ফোন করে বলা হয়েছে খুন করতে। যাঁরা এঁদের পাঠিয়েছে তাঁদের গ্রেফতার করতে হবে। তিনি বলেন,. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইএএস, আইপিএসদের বাঁচানোর চেষ্টা করবেন। তিনি নিচুতলার পুলিশকর্মীদের দেখবেন না। এব্যাপারে সিবিআই-এ বিষয়টির সমাধান করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। বিরোধী দলনেতা আরও বলেছেন, যদি আনিস খানের বাবা আদালতে লড়াই করতে চান, তাহলে শুভেন্দু অধিকারী সঙ্গে থাকবে।
দুপুরে আনিসের বাড়িতে সিট
এদিন দুপুরে আনিস খানের বাড়িতে তদন্তে যায় সিটের আধিকারিকরা। শুরুতে সেখানে সিটের আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। পরে সিটের আধিকারিকরা। আনিস খানের বাবা এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। যদিও আনিস খানের বাবা বারে বারেই বলছেন, তাঁর ছেলেকে পুলিশই খুন করেছে। সেই কারণে পুলিশের ওপরে তাঁর বিশ্বাস নেই। তিনি সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন এদিনও। পাশাপাশি জানিয়েছেন আনিসের মোবাইল তিনি সিটের হাতেও তুলে দেবেন না। যদি সিবিআই তদন্ত হয় কিংবা আদালত যাদের হাতে তা তুলে দিতে বলবে, তাঁদের হাতেই তিনি তা তুলে দেবেন বলে জানিয়েছেন।
আপনার স্মার্ট ফোনেই গোপনীয়তা লঙ্ঘন! ব্যবহৃত ফোনই প্রকাশ করছে পরিচয়
Recommended Video