মিথ্যাবাদী মুখ্যমন্ত্রী মমতা, পিএম কিষাণ নিয়ে নিশানা শুভেন্দুর! কাটমানি মিলবে না বলেই দেরি, কটাক্ষ দিলীপের
মিথ্যা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। পিএম কিষাণ (pm kisan) নিয়ে কৃষকদের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া চিঠির বয়ানকে নিশানা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (suvendu adhikari)। প্রসঙ্গত শ
মিথ্যা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। পিএম কিষাণ (pm kisan) নিয়ে কৃষকদের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া চিঠির বয়ানকে নিশানা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (suvendu adhikari)। প্রসঙ্গত শুক্রবার রাজ্যের কৃষকরা প্রথমবারের জন্য পিএম কিষাণ প্রকল্পের টাকা হাতে পেয়েছেন।
কৃষকদের চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর
কৃষকদের উদ্দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছিলেন, টালবাহান এবং নানা অজুহাত দেখিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার পিএম কিষাণ প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছিল। তিনি বলেছিলেন রাজ্য সরকার ২০১৮ সালে কৃষক বন্ধু প্রকল্প চালু করেছিল। আর কেন্দ্রীয় সরকার পিএম কিষাণ প্রকল্প চালু করে ২০১৯-এ। তিনি আরও লিথেছিলেন, রাজ্যের প্রকল্প থাকা সত্ত্বেও যাঁরা পিএম কিষাণ প্রকল্পে নথিভুক্ত করেছিলেন, তাঁদের টাকা দেওয়ার জন্য তিনি দিল্লির কাছে দাবি জানিয়েছিলেন। রাজ্য সরকার যথা সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছিল বলেও দাবি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মিথ্যা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
এর উত্তরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী কৃষকদের কাছে যে চিঠি লিখেছেন, তা নিন্দনীয়। উনি যা বলছেন, তা মিথ্যা। কেন্দ্রীয় সরকার আগেই টাকা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করতে চায়নি। আর কৃষকদের নামের তালিকাও কেন্দ্রের কাছে পাঠায়নি। তিনি বলেন, কৃষকদের পাশে দাঁড়াবে রাজ্য বিজেপি। সবাই যাতে টাকা পায়, তার জন্য বিধানসভার বাইরে এবং ভিতরে আন্দোলন চলবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
থাকবেন না শুভেন্দু
রাজ্যপালের কোচবিহার সফরে সঙ্গে সেখানকার সাংসদ নিশীথ প্রামাণিত থাকায় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তবে শনিবার রাজ্যপালের নন্দীগ্রাম সফরে বিতর্ক তৈরি হওয়ার জায়গা নেই। কেননা সেখানকার বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, রাজ্যপালের নন্দীগ্রাম সফরে তিনি কিংবা বিজেপির কোনও প্রতিনিধি থাকবে না। নন্দীগ্রামের বিধায়কের অভিযোগ, ভোট পরবর্তী হিংসায় নন্দীগ্রামে ১৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ
বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে গিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, কাটমানি পাওয়া যাবে না বলে নাম পাঠাতে দেরি করেছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি রাজ্যপালের জেলা সফর নিয়ে তিনি বলেছেন, ভোট হয়ে যাওরা পর থেকে তাঁরা এখনও পর্যন্ত ৭ হাজার অভিযোগ পেয়েছেন। অনেকেই ভয়ে এফআইআর পর্যন্ত করতে পারছেন না। আর রাজ্যপাল পরিদর্শনে গেলেও তাঁকে গালাগাল দিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে।
বিজেপির হাতের পুতুল রাজ্যপাল! গান্ধী হওয়ার চেষ্টায় ধনখড়, জেলা সফর নিয়ে বিস্ফোরক তৃণমূলের সায়নী