প্রজাতন্ত্র দিবসে আমন্ত্রণ পাননি, মুখ্যমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে নিশানা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর
প্রজাতন্ত্র দিবসে আমন্ত্রণ পাননি, মুখ্যমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে নিশানা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর
রেড রোডে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তাই নিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এবং নন্দীগ্রামের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, ' ক্যান্সারের ওষুধ বেরিয়েছে। কিন্তু হিংসার ওষুধ এখনও বেরোয়নি। যেহেতু আমার কাছে তিনি নন্দীগ্রামে হেরে বাড়ি গিয়েছেন এটা চিরদিন লেখা থাকবে।'
মমতাকে নিশানা শুভেন্দু
প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন নিয়েও পারদ চড়ল বঙ্গে। সকালে কোভিড বিধি মেনেই অতিথি সমাগম না করেই প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন হয়েছে বঙ্গে। তাতে আমন্ত্রিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তবে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, গতবার কোভিড পরিস্থিতিতেও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানকে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কার্ড দেওয়া হয়েছিল। ফোন করেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু এই বছর তা করা হয়নি। পুরোটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গ টেনে নিশানা
নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গ েটনেই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নিশানা করেছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কাছে হেরেছেন, সেই যন্ত্রণা থেকে তিনি তাঁকে দেননি। তাঁর নির্দেশেই হয়েছে এটা। তিনি আরও বলেছেন, 'আপনারা জানেন ক্যান্সারেরও কেমো বেরিয়েছে। কিন্তু হিংসার কোনও ওষুধ বের হয়নি। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হিংসা। যেহেতু আমার কাছে তিনি নন্দীগ্রামে হেরে বাড়ি গিয়েছেন এটা চিরদিন লেখা থাকবে, হেরেছি হেরেছি হেরেছি।' প্রজাতন্ত্র দিবসে নন্দীগ্রামেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
রাজ্যপালের সঙ্গে দূরত্ব
গতকালের বিতর্কের রেশ দেখা গিয়েছে রেড রোডের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানেও। রাজ্যপাল রেডরোডের অনুষ্ঠানে যোগ দিলেও তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এবং স্পিকার দূরত্ব বজায় রেখেই চলেছেন। গতকাল বিধানসভায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল। এমনকী স্পিকারের বিরুদ্ধেও প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছেন তিনি। এই নিেয় রাজনৈতিক পারদ চরমে উঠেছিল। রাজভবনের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সম্পর্কের ফাটল আরও চওড়া হয়েছে।
রাজ্যপালকে নিশানা স্পিকারের
গতকাল বিধানসভা রাজ্য সরকার এবং স্পিকারের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করে রাজ্য রাজনীতি সরগরম করে তুলেছিলেন রাজ্যপাল। তিনি অভিযোগ করেছিলেন স্পিকার সংবিধান বিরোধী কথা বলছেন। সংবিধান ভাঙলে তিনি তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করবেন বলেও হুমকি গিয়েছেন। পাল্টা রাজ্যপালকে নিশানা করে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন তিনি অসৌজন্যমূলক আচরণ করছেন।