মমতাকে ‘প্রাক্তন’ বানিয়ে দিলেন শুভেন্দু, নন্দীগ্রামে প্রার্থী ঘোষণার পরই পাল্টা জবাব
মমতাকে ‘প্রাক্তন’ বানিয়ে দিলেন শুভেন্দু, নিজেকে নন্দীগ্রামে প্রার্থী করার পরই পাল্টা
ভোটের এখনও কোথায় কী! এখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে নন্দীগ্রামের প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছেন। আর তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই খেজুরির মঞ্চ থেকে পাল্টা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আসন্ন নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রাক্তন সতীর্থ শুভেন্দু অধিকারী বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে প্রাক্তন বানিয়ে দিলেন।
৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত হবেন মমতা!
শুভেন্দু, সোমবার কলকাতার রোড শো থেকেই বলেছিলেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত করবেন। আর যদি ব্যর্থ হন তবে রাজনীতি ছেড়ে চলে যাবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম থেকে আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ঘোষণার পরই জানিয়ে দেন প্রাক্তন বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
'প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী' লেখা লেটার প্যাড প্রস্তুত রাখুন
মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরির সমাবেশে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভালো। তবে তিনি এখন থেকেই 'প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী' লেখা একটি লেটার প্যাড প্রস্তুত করে রাখুন। মাননীয়ার প্রাক্তন হতে আর বেশি দেরি নেই।
নন্দীগ্রামের আন্দোলনকে মান্যতাই দেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা
শুভেন্দু বলেছিলেন "নন্দীগ্রামে যদি আমি তাকে আধ লাখ ভোটে পরাজিত করতে না পারি তবে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। নির্বাচনের সময় এলেই শুধু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামকে স্মরণ করেন। নন্দীগ্রামের আন্দোলনকে তিনি মান্যতাই দেন না। তাহলে তো তিনি নন্দীগ্রামকে পাঠ্যসূচিতে আনতেন, যেমন সিঙ্গুরকে এনেছেন।
মমতার লড়াইয়ের অঙ্গীকার শুভেন্দুর নন্দীগ্রাম থেকে
২০১৬ সালে এই নন্দীগ্রাম থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন শুভেন্দু। মমতা নন্দীগ্রামের সমাবেশে থেকেই তাঁর নাম ঘোষণা করেছিল। তিনি এবার শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। শুভেন্দু এখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে মমতা সামনে থেকে লড়াইয়ের অঙ্গীকার করেছেন।
মাননীয়ার ভোটে আমি সিঁধ কাটব, হুঙ্কার শুভেন্দুর
শুভেন্দু বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেস এখন আর রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। বিহার থেকে একজন রাজনৈতিক কৌশলবিদ নিয়োগ করে তা প্রমাণ করেছে। আর এটাই বিজেপির পক্ষে একটি বিরাট সুবিধা। শুভেন্দু বলেন, যে ভরসায় মাননীয়া নন্দীগ্রামে প্রার্থী হচ্ছেন, সেইখানেও আমি সিঁধ কাটব। আর কোন অঙ্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারবেন, তা আমার কাছেই আছে।
মুকুলই তৃণমূলে ভাঙনের প্রধান কাণ্ডারি, ২০১৯ থেকে ২১- প্রতি পদক্ষেপে স্পষ্ট লক্ষ্য