নন্দীগ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে রাখা হচ্ছে বহিরাগতদের, 'প্রমাণ' হাতে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কমিশনে ডেরেক
চড়ছে ভোটের পারদ। ২৯৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হলেও সবার নজর নন্দগ্রামের উপরেই। একেবারে হাইভোল্টেজ লড়াই। একদিকে খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী। জোরদার লড়াই।
চড়ছে ভোটের পারদ। ২৯৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হলেও সবার নজর নন্দগ্রামের উপরেই। একেবারে হাইভোল্টেজ লড়াই। একদিকে খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী। জোরদার লড়াই।
গত কয়েকদিন ধরে নন্দীগ্রামে মাটি কামড়ে পরে শুভেন্দু। পালটা মাঠে ময়দানে নেমে কাজ করছেন নেত্রীর সহযোদ্ধারা। তবে মাঝে মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে সেখানে। আর এর পিছনে রয়েছে বহিরাগতরা। মারাত্মক অভিযোগ তৃণমূলের
দফায় দফায় উত্তেজনা
ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই চড়ছে উত্তেজনার পারদ। দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াচ্ছে নন্দীগ্রামে। গত কয়েকদিন আগেই বিজেপি এবং তৃণমূল সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নন্দীগ্রাম। রক্তাত্ব পর্যন্ত হতে হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, ভোটের আগে প্রচুর পরিমানে বহিরাগতদের ঢোকানো হচ্ছে। আর এর পিছনে রয়েছেন খোদ শুভেন্দু অধিকারী নিজে। এমনটাই অভিযোগ।
‘বহিরাগত’দের জড়ো করছেন শুভেন্দু অধিকারী
শুধু অভিযোগ করা নয়, সরাসরি নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল কংগ্রেস। দলের তরফে কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন। তাঁর অভিযোগ, ভোটের আগে নন্দীগ্রামে জড়ো হয়েছেন বহিরাগতরা। নন্দীগ্রামের একাধিক বাড়িতে জড়ো হয়েছেন বহিরাগতরা। কোন বাড়িতে কতজন করে বহিরাগত রয়েছেন সেই তালিকাও কমিশনকে দিয়েছেন ডেরেক। বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তৃণমূলের অভিযোগ, স্থানীয় ভাবে পুলিশকে জানানো হলেও এ পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে কমিশনকে তাঁরা জানিয়েছেন বলে দাবি শাসকদলের।
অভিযোগ ঘিরে চাপানোতর!
ডেরেকের অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চাপানোতর। বিজেপির দাবি, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভাবে ভিত্তিহীন। বিজেপি গণতন্ত্রের উপর বিশ্বাস রাখে। মানুষের ভোট-ই সব। পালটা তৃণমূলের দাবি, ভোটের আগে বহিরাগতদের আনাগোনা বাড়ছে নন্দীগ্রামে। শুভেন্দু অধিকারী গত কয়েকদিন ধরে সেখানে পড়ে থেকে গেম প্ল্যান সাজাচ্ছেন। এই বিষয়ে পুলিশকে জানিয়েও লাভ হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
কি বলছেন বাড়ির মালিকরা
তৃণমূল সাংসদ নন্দীগ্রামে এলাকার চারটি বাড়ির কথা উল্লেখ করেছেন তাঁর অভিযোগপত্রে। তাঁর দাবি, কোন বাড়িতে ডিসেম্বর মাস থেকে ৩০ থেকে ৪০ জন যুবক রয়েছেন। তো কোনও বাড়ি ঘিরে রাখা হয়েছে। পর্দার আড়ালেই যা হওয়ার হচ্ছে বলে দাবি। এই বিষয়ে এক সংবাদমাধ্যম খোঁজখবর চালায়। আদৌও বাড়িগুলিতে বহিরাগত লুকিয়ে রয়েছেন কিনা। সমস্ত বাড়ির মালিক সেই সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়িতে কোনও বহিরাগত লুকিয়ে নেই। যারা রয়েছেন নয় নিরাপত্তারক্ষী নয়তো ভাড়া!