মোহভঙ্গ বিজেপিতে, শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ প্রার্থী চার মাস কাটতে না কাটতেই ফিরলেন তৃণমূলে
মোহভঙ্গ বিজেপিতে, শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ প্রার্থী চার মাস কাটতে না কাটতেই ফিরলেন তৃণমূলে
একুশের নির্বাচনের আগে তৃণমূলে দমবন্ধ হয়ে আসছিল। তাই শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। তারপর তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা বিধানসভা কেন্দ্রে থেকে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে টিকিটও আদায় করে নিয়েছিলেন। কিন্তু বিধানসভা ভোটে তাঁকে হার মানতে হয় তৃণমূল প্রার্থী কাছে। শেষে চার মাস যেতে না যেতেই কামব্যাক করলেন তৃণমূলে।
বিজেপির ঘর করা হল না, ফিরলেন তৃণমূলে
তৃণমূলে দমবন্ধ হয়ে দল ছেড়েছিলেন, এবার তিনি হাঁফিয়ে উঠলেন বিজেপিতে। কালক্ষেপ না করে পের পুরনো দলই ফিরলেন একুশের নির্বাচনে গোসাবার প্রার্থী বরুণ প্রামাণিক ওরফে চিত্ত। ভোটে হারের পর থেকেই বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে তাঁর। শেষমেশ বিজেপির ঘর করা হল না বরুণের। তিনি ফিরেই এলেন তাঁর পুরনো ঘরে।
শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ নে্তার দল-ত্যাগে বিজেপির শক্তিক্ষয়
রবিবার সন্ধ্যায় ভুল স্বীকার করে তিনি তৃণমূলের পতাকা তুলে নিলেন। নির্বাচনের হারের পর থেকেই তিনি একটু একটু করে তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াচ্ছিলেন। শেষমেশ বিজেপি শিবিরকে ধাক্কা দিয়ে তাঁর প্রত্যাবর্তন ঘটল তৃণমূলে। শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ নে্তার দল-ত্যাগে বিজেপির শক্তিক্ষয় হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা বিধানসভায়।
চিন্তায় পড়েছিলাম, দলে আমাকে আর ঠাঁই দেবে তো!
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শ্যামাপদ চক্রবর্তীর হাত থেকে তিনি তৃণমূলের পতাকা নেন। দলের পুরনো নেতার ঘরওয়াপসিতে উৎফুল্ল ঘাসফুল শিবির। পুরনো ঘরে ফিরে খুশি বরুণ প্রামাণিকও। তিনি বলেন, তৃণমূলে ফিরে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। একটা সময় খুব চিন্তায় পড়েছিলাম, দলে আমাকে আর ঠাঁই দেবে তো! আর ফিরতে পারব তো ঘরে! তৃণমূল আমাকে আবার ঠাঁই দিয়েছে, আমি কৃতার্থ।
উপনির্বাচনের আগে গোসাবায় তৃণমূলের শক্তিবৃদ্ধি
বরুণ প্রামাণিক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে বলেন, দলীয় নেতৃত্বের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। দল আমাকে যেভাবে কাজে লাগাবে আমি তা করতে প্রস্তুত। আগামী উপনির্বাচনে গোসাবায় তৃণমূল আরও ভালো ফল করবে। তিনি বলেন, আমার এলাকা থেকে দল যাতে লিড পায়, তা আমি নিশ্চয়ই দেখব।
হাঁফিয়ে উঠছিলাম বিজেপিতে, তৃণমূলে ফিরে শান্তি
দলে ফিরে এসে বরুণ প্রামাণিক বলেন, আমি হাঁফিয়ে উঠছিলাম বিজেপিতে। ওই দলে কোনও কাজের পরিবেশ নেই। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কোনও জায়গা নেই। এখন মানুষের পাশে থেকে মানুষের জন্য কাজ করতে পারব। এলাকাবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, যে ডাকবেন আমাকে সর্বদা আপনাদের পাশে পাবেন।
ভোট ফুরোতেই গেরুয়া রাজনীতির অঙ্গনে ফাঁকি
একুশের নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল তাঁর। ভোট ফুরোতেই গেরুয়া রাজনীতির অঙ্গনে আর দেখা যাচ্ছিল না তাঁকে। তখন থেকেই শোনা যাচ্ছিল তিনি তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। দিন কয়েক আগে তৃণমূলের সুন্দরবন জেলার সভাপতি তথা কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তারপর তাঁর ঘরওয়াপসির জল্পনা আরও বাড়তে থাকে। এখন দেখার গোসাবার উপনির্বাচন তল তাঁকে কী গুরুদায়িত্ব দেয়।