বিচারপতির সঙ্গে দিল্লিতে রাজ্যের শীর্ষ আইনজীবীর সাক্ষাত! নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তদন্ত দাবি শুভেন্দুর
প্রথমে বিষয়টি ছিল অভিযোগের পর্যায়ে। গত রবিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari) অভিযোগ করেছিলেন, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দিল্লি সফরে গিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে আইনজীবী হিসেবে লড়
প্রথমে বিষয়টি ছিল অভিযোগের পর্যায়ে। গত রবিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari) অভিযোগ করেছিলেন, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দিল্লি সফরে গিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে আইনজীবী হিসেবে লড়াই করা এক বর্ষীয়ান আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করেছেন। এব্যাপারে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) কাছে জবাব চেয়েছিলেন। এবার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত (probe) দাবি করলেন।
ঘটনার
সূত্রপাত
রবিবার।
ওদিন
সকালে
টুইট
করে
রাজ্যের
বিরোধী
দলনেতা
শুভেন্দু
অধিকারী
টুইট
করে
বলেন,
দিল্লি
সফরে
যাওয়া
কলকাতা
হাইকোর্টের
এক
বিচারপতি
রাজ্যের
এক
শীর্ষ
আইনজীবী,
যিনি
হাইকোর্টে
বিভিন্ন
কেলেঙ্কারি
মামলার
শুনানিতে
যুক্ত
রয়েছে,
তাঁর
সঙ্গে
কথা
বলেছেন।
সেই
টুইটে
শুভেন্দু
অধিকারী
বলেছিলেন,
বিচারবিভাগের
স্বাধীনতা
নিয়ে
কোনও
কিছুর
সঙ্গেই
আপোস
করা
যায়
না।
এই
ঘটনার
পরে
তিনি
বিচারবিভাগের
স্বাধীনতা
এবং
নিরপেক্ষতা
নিয়ে
প্রশ্ন
করেছিলেন।
তবে
সেই
টুইটে
তিনি
বিচারপতির
নাম
কিংবা
আইনজীবীর
নাম
বলেননি।
তবে
একদিন
পরে
শুভেন্দু
অধিকারীর
রবিবারে
করা
টুইটকে
ট্যাগ
করে
বিজেপি
নেতা
অমিত
মালব্য
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়কে
নিশানা
করেন।
তিনি
এই
রাজ্যের
মুখ্যমন্ত্রীর
কাছে
বিষয়টি
ব্যাখ্যা
দাবি
করেন।
অমিত
মালব্য
তাঁর
করা
টুইটে
আইনজীবীর
পরিচয়
কিছুটা
স্পষ্ট
করার
চেষ্টা
করেনি।
বিজেপুি
নেতা
বলেন,
মুখ্যমন্ত্রীর
এক
বর্ষীয়ান
আইনজীবী,
যিনি
এই
রাজ্য
থেকে
রাজ্যসভার
সাংসদ,
ভোট
পরবর্তী
হিংসা
নিয়ে
যিনি
হাইকোর্টের
শুনানিতে
রয়েছেন,
এছাড়াও
তিনি
রাজ্যের
বেশ
কিছু
বড়
কেলেঙ্কারি
নিয়ে
মামলায়
অভিযুক্ত
নেতাদের
আইনজীবী
হিসেবে
যুক্ত
রয়েছেন,
শনিবার
তাঁর
সঙ্গেই
কলকাতা
হাইকোর্টের
এক
বিচারপতি
দেখা
করেছেন,
বেশ
কিছুক্ষণ
কথা
বলেছেন।
এরপর মঙ্গলবার সকালে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ফের টুইট করেন। সেখানে তিনি বলেন, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দিল্লিতে বড় কেলেঙ্কারির অভিযুক্তদের আইনজীবী এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বর্ষীয়ান অ্যাডভকেটের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে নীরবতায় তিনি চমকে যাচ্ছেন। এই ধরনের পরিস্থিতি আইন ও বিচার বিভাগের ক্ষেত্রে উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন গণতন্ত্রের সঙ্গে আপোস করা হচ্ছে। এর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এই ঘটনার দিকে চোখ রাখতে গেলে অপর একটি ঘটনার কথা অবশ্যই উল্লেখ করা প্রয়োজন। জুনের শেষের দিকে করা দিল্লি সফরে শুভেন্দু অধিকারী দেশের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার বাড়ি গিয়েছিলেন। তৃণমূলের অভিযোগ তাঁরা বৈঠক করেছিলেন। কিন্তু প্রথমে তুষার মেহতা এবং পরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বাড়িতে গেলেও বৈঠক হয়নি। কেননা তুষার মেহতা কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তৃণমূলের তরফে এই ঘটনায় তুষার মেহতার বাড়ির সিসিটিভির ছবি প্রকাশের দাবি তোলা হয়েছিল। তৃণমূল সেই সময় বলেছিল নারদ মামলায় তদন্ত করছে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই এবং ইডি। এই দুই সংস্থার আইনজীবী হলেন তুষার মেহতা। শুভেন্দু অধিকারী নারদ মামলায় অভিযুক্ত। তাই সেই মামলা প্রভাবিত করার অভিযোগ তোলা হয়েছিল তৃণমূলের তরফ থেকে।
শুভেন্দু অধিকারী এর আগে রাজ্যের বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা করা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তাঁর (মমতা) হাতে রাজ্য সরকার থাকলে তাঁদের (শুভেন্দু) হাতে কেন্দ্রীয় সরকার রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারকে দুর্বল ভাবার কোনও কারণ নেই বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করার অভিযোগ তুলে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন ভদ্রভাবে চলুন, মিথ্যা মামলা করবেন না। পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন, রাতের অন্ধকারে পুলিশ কী করে সব রেকর্ড তাঁদের কাছে রয়েছে।
পাশাপাশি এরাজ্যে সরকার বলে কিছু আছে কিনা, প্রশ্ন তুলেছিলেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ রাজ্যে আম্ফানের টাকা লুট হয়, নবান্ন সপ্তাহের বেশিরভাগ দিন বন্ধ থাকে। রবিবার বাদ দিয়ে অন্যদিন নবান্ন কেন বন্ধ থাকে, তা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন শুভেন্দু। তিনি কটাক্ষ করে বলেছিলেন, পশ্চিম সরকার চালাচ্ছে একটি প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থা। তাদের গ্রহণযোগ্যতা বলে কিছু নেই বলেও মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে রাহুলের 'ব্রেকফাস্ট' মিটিং, ২ দলের অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনা