ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা কুণাল ঘোষের, অবস্থা আশঙ্কাজনক
কারাসূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই চুপচাপ ছিলেন কুণাল ঘোষ। শুক্রবার ভোর রাতে নিজের সেলে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। যে নিরাপত্তারক্ষী তার সেলের বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তিনি কারা কর্তৃপক্ষকে কুণাল ঘোষের আচ্ছন্ন হয়ে পড়ার খবর দেন। এরপর কারা কর্তৃপক্ষকে তিনি নিজেই জানান, আলপ্রাজোলাম জাতীয় ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন তিনি। এরপর তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট বা সিসিইউ-তে ৬ নম্বর বেডে ভর্তি করা হয় তাঁকে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খাওয়ার ফলে এই অবস্থা। তবে, এখনও দেখতে হবে কোন ঘুমের ওষুধ কত মাত্রায় খেয়েছেন তিনি। তবে সকালের দিকে কুণালের শারীরিক অবস্থার খুব সামান্য উন্নতি হলেও সঙ্কট এখনও কাটেনি বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন কুণাল।
আরও পড়ুন : সারদা: দোষীদের ধরছে না সিবিআই, জেলেই আত্মহত্যার হুমকি কুণালের
উল্লেখ্য, সোমবার আদালতে কুণাল ঘোষ জানিয়েছিলেন, সারদা কাণ্ডে যে যে তথ্য তিনি সিবিআই-কে দিয়েছেন তা চার্জশিটে নেই। এমনকী সেদিনই তিনি জানিয়েছিলেন, "আমি চাই ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের ধরুক সিবিআই। যদি তা না হয়, তা হলে আমি জেলেই আত্মহত্যা করব।" সেই মতোই এদিন আত্মহত্যার চেষ্টা চালান তিনি। তবে প্রশ্ন উঠছে কুণাল আত্মহত্যা করার কথা বলার পরও সেলের নিরাপত্তার বিষয়টিতে গাফিলতি কেন ছিল? কারার মধ্যে ঘুমের ওষুধই বা কুণাল পেলেন কোথা থেকে? জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কুণাল ঘোষের সেলের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাররক্ষীকে।
এদিকে কুণাল ঘোষের আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষের দিকে স্বাভাবিকভাবেউ প্রশ্ন উঠছে। যদিও কারামন্ত্রী এইচএ সোফি-র কথায়, প্রত্যেকদিন চিকিৎসকের নির্দেশ মতো ২-৩ টে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার অনুমোদন ছিল কুণালের। বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটে নাগাদ তিনি ঘুমের ওষুধ খেয়েছেন। এবং সবচেয়ে বড় কথা, স্ট্রেচারে নয় হেঁটে হেঁটেই এসএসকেএম হাসপাতালেই গিয়েছেন কুণাল ঘোষ।
এদিকে এই ঘটনায় জেল কর্তৃপক্ষকে শোকজের চিঠি দিতে চলেছে সিবিআই। সারদা কাণ্ডের দায়িত্বভার সিবিআই-এর হাতে। সারদাকাণ্ডে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী কুণাল ঘোষ। অথচ তাঁর নিরাপত্তায় কেন গাফিলতি হয়েছে সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে। একইসঙ্গে এবিষয়ে আদালতকেও চিঠি দিয়ে জানাবে সিবিআই। সিবিআই-এর দুই আধিকারিকের প্রতিনিধি দল এসএসকেএম-এ যাচ্ছে।