কথা রাখেননি শুভেন্দু! তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে বিস্ফোরক একদা ঘনিষ্ঠ সুনীল মণ্ডল
কথা রাখেননি শুভেন্দু! তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে বিস্ফোরক একদা ঘনিষ্ঠ সুনীল মণ্ডল
শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে ভোটের আগে ড্যাংডেঙিয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মণ্ডল। সেই সুনীল মণ্ডল এখন বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। সুনীল মণ্ডল জানালেন, শুভেন্দু কোনও কথা রাখেনি। এখন তো আবার ফোনও তোলে না শুভেন্দু।
তৃণমূলত্যাগীদের বিশ্বাস করে না বিজেপি! মুকুলের প্রত্যাবর্তনের পর জল্পনা বাড়ালেন সুনীল
প্রতিজ্ঞার এক বর্ণও মানেননি শুভেন্দু, বললেন সুনীল
সুনীল মণ্ডল এদিন বেসুরো হয়ে বিজেপির দিল্লির নেতাদের একহাত নিয়েছেন। সেইসঙ্গে আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও। সুনীল মণ্ডল এদিন বলেন, শুভেন্দু তৃণমূল ছাড়ার পর প্রথম আমার বাড়িতে আসে। তারপর আমায় যে কথা দেয়, আজ পর্যন্ত তার এক বর্ণও মানেনি। বলেছিল, দাদা-ভাই হয়ে একসঙ্গে কাজ করব। আর এখন সে ফোনও তোলে না।
শুভেন্দুর সঙ্গে এখন সম্পর্ক নেই সুনীল মণ্ডলের
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছিল, তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারী আপনার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন? আর সেই প্রশ্নের উত্তরে আরও বিস্ফোরক বার্তা দেন বর্ধমান পূর্বের সংসদ সুনীল মণ্ডল। তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারী শুধু আমার সঙ্গে নয়, অনেকের সঙ্গেই প্রতারণা করেছে। আমি ওঁর সম্বন্ধে কোনও কথা বলতে চাই না। আমার সঙ্গে এখন সম্পর্কও নেই।
বিরোধী দল হিসেবেও বিজেপিকে তোপ সুনীলের
শুভেন্দু এখন বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা। সেই হিসেবে বিরোধী দলনেতাও তিনি। আর এই ইস্যুতে সুনীল মণ্ডল বলেন, বিরোধী দল হয়ে বর্তমান সরকারকে ঠিকমতো কাজ করতে দিচ্ছে না বিজেপি। এখন তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছে। তাই তৃণমূলকে কাজ করতে দিতে হবে। তবে কি আপনি তৃণমূলে ফেরার কথা ভাবছেন। সুনীল বলেন, বিষয়টি এখনও ভাবিনি। ভেবে দেখব।
তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের মানতে পারছে না বিজেপি
এদিন বিজেপির বিরুদ্ধেও গর্জে ওঠেন সুনীল। তিনি বলেন, তৃণমূলত্যাগীদের বিশ্বাস করতে পারে না বিজেপি। যাঁরা তৃণমূল থেকে এসেছেন তাঁদের মানতে পারছে না। ভেবেছিলাম বিজেপি সংগঠনিকভাবে বড় দল। কিন্তু বিজেপিতে গিয়ে সেরকম কিছু দেখতে পাচ্ছি না। দিল্লি থেকে উড়ে এসে ভোটে জেতা যায় না।
বাংলা সম্পর্কে কোন জ্ঞান নেই বিজেপি নেতাদের
এদিন প্রবাসী বিজেপি নেতাদের নিযে সুনীল মণ্ডল বলেন, ওনাদের বাংলা সম্পর্কে কোন জ্ঞান নেই। ওঁরা বাংলার কিছুই জানেন না। ভাষাগত দক্ষতা ছিল না। আর এখানকার মানুষ হিন্দি বুঝবে কী করে! গ্রামগঞ্জের মানুষ তো সেভাবে হিন্দি জানেনই না। সুনীল মণ্ডল দিল্লির নেতাদের ভাষা সমস্যা নিয়ে সরব হন সব্যসাচী দত্তের মতোই।