প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার সুমঙ্গল গোষ্ঠীর মালিক সুব্রত অধিকারী
২০১০ সালের জুলাই মাস থেকে সুমঙ্গল গোষ্ঠী বিভিন্ন সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানায়, তাদের আলুর বন্ড কিনলে আমানতকারীদের ২০-১০০ শতাংশ লাভ থাকবে। দু'টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে তাদের অ্যাকাউন্ট ছিল। সেই অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেওয়ার কথা বলা হয়। টাকা জমা দেওয়ার রসিদ দেখালে আমানতকারীদের আলুর বন্ড দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এই পদ্ধতিতে বাজার থেকে অন্তত ৮৫ কোটি টাকা তুলেছিল তারা।
অভিযোগ, মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও সুমঙ্গল গোষ্ঠী টাকা ফেরত দিতে গড়িমসি করে। পার্ক স্ট্রিটে চ্যাটার্জি ইন্টারন্যাশনাল বিল্ডিংয়ে তাদের সদর দফতরে গিয়ে ধর্না দেন সাধারণ মানুষ। তাতেও কাজ না হওয়ায় লিখিত অভিযোগ রুজু হয় শেক্সপিয়র সরণী থানায়। এর পরই তদন্তে নামে পুলিশ। এই মামলায় সুব্রত অধিকারীর স্ত্রী মধুমিতা অধিকারীকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল।
সুব্রত অধিকারী আদতে হুগলী জেলার মগরার বাসিন্দা। গাড়ির ব্যাটারি বিক্রি ছিল তাঁর মূল ব্যবসা। এ ছাড়াও দু'টি হিমঘর ও একটি ম্যানেজমেন্ট কলেজের মালিক তিনি। সারা রাজ্যে ২২টি কার্যালয় খুলেছিল সুমঙ্গল গোষ্ঠী। সংস্থার ৬০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সুব্রতবাবুর নামে। বাকি ৩৫ শতাংশ শেয়ার তাঁর স্ত্রী মধুমিতা অধিকারীর নামে রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে সুমঙ্গল গোষ্ঠীর কম্পিউটার, কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।