অনুব্রত-বুলি এবার সুকান্ত কণ্ঠে, আসন্ন পঞ্চায়েতের আগে দু-পক্ষে ‘ভয়ঙ্কর খেলা’র বার্তা
অনুব্রত-বুলি এবার সুকান্ত কণ্ঠে, আসন্ন পঞ্চায়েতের আগে দু-পক্ষে ‘ভয়ঙ্কর খেলা’র বার্তা
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন, "খেলা হবে, ভয়ঙ্কর খেলা হবে।" এবার সেই কথাই প্রতিধ্বনিত হল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কণ্ঠে। বাংলায় পঞ্চায়েত ভোট যখন দুয়ারে কড়া নাড়ছে, তখন অনুব্রত-বুলি শোনা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতির গলায়, যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে লক্ষ্য করে ডিসেম্বর-হুমকি দিয়ে আসছেন বিজেপি নেতারা। ডিসেম্বরে তৃণমূল সরকরা কাঁপবে বলে দাবি করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, এই সরকারেরর আয়ু আর বেশি দিন নেই। আর ডিসেম্বর শুরুর আগেই শুভেন্দু বলেছিলেন, ডিসেম্বর মাসে
একটা বড় ডাকাত ভিতরে ঢুকবে। এবার ফের সুকান্ত বারাকপুরের সভা থেকে সুর চড়ালেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বললেন, যতক্ষণ মোদীজি প্রধানমন্ত্রী আছেন, ততক্ষণ কোনও চোর ছাড় পাবেন না।
তারপরই সুকান্ত মজুমদার লাগামছাড়া মন্তব্য করে বসলেন। একেবারে অনুব্রত মণ্ডলের ঢঙে অনুব্রত মণ্ডলের বুলি আওড়ালেন তিনি। তাঁর মুখেও শোনা গেল ভয়ঙ্কর খেলা হওয়ার কথা। রাজ্যের শাসকদলকে বিঁধে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ভাটপাড়া এখন বোমার জন্য বিখ্যাত হয়ে গিয়েছে। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তৃমমূলের ৩০০ নেতা জেলে, কেউ সন্ত্রাস করে ছাড় পাবে না। খেলা হবে দু-পক্ষেরই। ভয়ঙ্কর খেলা হবে। পুলিশ সরে গেলে মাত্র ১৫ মিনিট লাগবে তৃণমূলকে সাফ করতে।
বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতির কণ্ঠে ভয়ঙ্কর খেলা হওয়ার কথা শোনা গেল। একটা সময় পঞ্চায়েত ভোটের আগে অনুব্রত মণ্ডলের কণ্ঠে শোনা গিয়েছিল পুলিশকে বোম মারার কথা। তারপর চড়াম-চড়াম, নকুলদানা, গুড়-বাতাসা, পাচনের বাড়ি আর সবশেষে ভয়ঙ্কর খলা হবে- এমন নানা বাণী বিলিয়েছিলেন অনুব্রত। এখন তিনি গরুপাচার মামলায় জেলবন্ , তাঁর অনুপস্থিতিতে এখন অনুব্রত বুলির ভার যেন তুলে নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
সম্প্রতি নৈহাটি, জগদ্দল, ভাটপাড়া, কাঁকিনাড়ায় একের পর এক বোমা উদ্ধার হয়েছে। কাঁকিনাড়ায় বোমা ফেটে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। এই পরিস্থিতিত আইনশৃঙ্খলার অভিযোগ এনে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ ও রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে একহাত নেন সুকান্ত। ব্যারাকপুরে এক সভা থেকে ভয়ঙ্কর খেলা হবে বলে আওয়াজ তুললেন।
আবারও তিনি ডিসেম্বর তত্ত্ব তুলতে ভুললেন না। বললেন, ডিসেম্বর এসেছে, সরকার কাঁপছে। ২০২৪-এ লোকসভা ও বাংলার বিধানসভা ভোট এক হলে অবাক হবেন না। তিনি বলেন, এবার আর এক পক্ষের খেলা হবে না। দু-পক্ষই এবার খেলবে ভয়ঙ্কর খেলা। সেইসঙ্গে সাবধান করে দেন, মুখ্যমন্ত্রী এখন বুঝতে পারছেন বিজেপি কী জিনিস। প্রদানমন্ত্রী ১১ লক্ষ ঘর দিয়েছেন, তৃণমূল চুরির জন্য মুখিয়ে আছে। চুরি করলেই এক এক করে ধরব আর দিল্লিতে অভিযোগ করব।
Gujarat Election 2022: প্রথম দফায় কম ভোট পড়ল গুজরাতে, কোন ইঙ্গিত দিচ্ছে জনমত