
কল্যাণের বিরুদ্ধে রাজপথে প্রকাশ্যে বিক্ষোভ, সাংসদদের প্রকাশ্যে মুখ খোলায় নিষেধাজ্ঞা সুদীপের
তৃণমূলে কল্যাণ অস্বস্তি চলছে! এবার তা ঘর ছাড়িয়ে আছড়ে পড়ল রাস্তাতেও। তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমাণ্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমানের অভিযোগ। আর সেই অভিযোগে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলের একাধিক নেতা-কর্মী।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, অবিলম্বে কল্যাণবাবুকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি এসে ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে বিক্ষোভ আরও বৃহত্তর আকার নেবে বলেও হুশিয়ার বিক্ষোভকারীদের। এভাবে দলের মধ্যে কার্যত গৃহ-কোন্দলে চরম অস্বস্তিতে শাসক শিবির।
যদিও এই অবস্থায় দলের সাংসদদের কড়া বার্তা দিয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকাশ্যে মুখ খোলা নিয়ে দলের সাংসদদের সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্যে রীতিমত দলের মধ্যে বিদ্রোহ। বিশেষ করে দলের একাংশ শ্রীরামপুরের সাংসদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সম্প্রতি অপরূপা পোদ্দার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও এই বিষয়ে নালিশ জানানোর সিদ্ধান্ত নেন বেশ কয়েকজন সাংসদ। এমনকি লিখিত ভাবে তা জানানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আর তা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আর তা বুঝতে পেরেই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছেন সুদীপ। সমস্ত সাংসদকে এই বিষয়ে ধীরে চলো নীতি নীতি নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তৃণমূল সাংসদদের সবাইকে ব্যক্তিগতকে ভাবে হোয়াটস অ্যাপ করেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, সেই বার্তায় সুদীপ স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, 'প্রকাশ্যে মুখ খুলে তাতে বিতর্ক তৈরি করা যাবে না।' পাশাপাশি আরও বলা হয়, দলের অন্দরের বিরোধ দলেই মেটাতে হবে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে মুখ খোলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যত একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। এভাবে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে চরম অস্বস্তিতে পড়ে যায় দল। আর এর মধ্যে কুণালের মন্তব্য আরও বিতর্ক বাড়ায়।
যদিও এই অবস্থায় শুক্রবারই পার্থ চট্টোপাধ্যায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুণাল ঘোষকে ফোন করেন। সমস্যা যাতে না বাড়ে সেদিকে নজর রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু এরপরেও সোশ্যাল মিডিয়াতে দুজনেই একে অপরকে 'মেরুদন্ড' ইস্যুতে বিঁধতে থাকে। আর তাতে বিতর্ক আরও তৈরি হয়।
আর এই বিতর্কের মধ্যেই সমস্যা আরও তৈরি করেন কালীঘাটের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার। অভিষেকের ভাই আকাশ একেবারে সোশ্যাল মিডিয়াতে কল্যাণকে সরাসরি আক্রামণ করেন। লেখেন, শ্রীরামপুর চায় নতুন সাংসদ। আর এই বিতর্কের মধ্যেই এবার রাস্তায় নেমে দলের সাংসদের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। যদিও নিজেদের ভবানীপুরের বাসিন্দা হিসাবেই এই বিক্ষোভ বলে দাবি আন্দোলনকারীদের।