দিলীপই লড়াইয়ের কেন্দ্র ঠিক করার দায়িত্ব, চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে পাল্টা দিলেন শুভেন্দু
শুভেন্দুর গড় নন্দীগ্রামে ঢুকতে না পেরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ নিশানা করেছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে। তার দিলেন শুভেন্দু।
শুভেন্দু অধিকারীর গড় নন্দীগ্রামে ঢুকতে না পেরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ নিশানা করেছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে। তিনি বলেছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক আগে ঠিক করুন তিনি কোন কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়াবেন। এবার তাঁর পাল্টা দিয়ে শুভেন্দু জানিয়ে দিলেন, দিলীপ ঘোষই ঠিক করে দিন কোন কেন্দ্রে দাঁড়াতে হবে তাঁকে।
দিলীপ ঘোষই ঠিক করুন কেন্দ্র
নিজের গড়েই দিলীপ ঘোষের কাছে খোঁচা খেয়েছিলেন। তাই দিলীপের এলাকাতে গিয়েই জবাবটা দিয়ে এলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দিলীপের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে বলেন, দিলীপবাবু আপনি যেখানে বলবেন, সেখানেই আপনার বিরুদ্ধে লড়তে রাজি। আপনিই ঠিক করুন কোন কেন্দ্রে হবে লড়াই।
যে কোনও কেন্দ্রে লড়তে তৈরি শুভেন্দু
শুভেন্দুর কথায় রাজ্যের যে কোনও কেন্দ্রে তিনি লড়তে তৈরি। তবে একটা শর্ত আছে আমার। তা হল। সেই কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী হতে হবে দিলীপ ঘোষ। আর যেন সংরক্ষিত আসন না হয়, সেখানে তো দাঁড়াতে পারব না। তাই বিচার বিবেচনা করে রাজ্যের মধ্যে কোনও একটা আসন স্থির করুন, যেখানে লড়াই হবে আমার-আপনার।
দিলীপ বলেছিলেন শুভেন্দু নন্দীগ্রামে হারবেন
শনিবার সিএএ-র সমর্থনে অভিনন্দন যাত্রায় মিছিল করে নন্দীগ্রামে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু তিনি নন্দীগ্রাম ঢুকতে পারেননি। তারপরই গর্জে উঠে তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে একহাত নেন। তিনি হুঙ্কার ছাড়েন, এবার নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়ালে হারবেন শুভেন্দু অধিকারী। তাই এখন থেকে তিনি ঠিক করে নিন কোথায় দাঁড়াবেন।
নন্দীগ্রামে আর তৃণমূল নেই
দিলীপের যুক্তি ছিল, শুভেন্দু নন্দীগ্রাম থেকে এবার আর জিততে পারবেন না। তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। ভিত নড়ে গিয়েছে। তাই তিনি নন্দীগ্রামে ঢুকতে দিতে ভয় পাচ্ছেন আমাকে। নন্দীগ্রামে আর তৃণমূল নেই। সবাই বিজেপির দিকে চলে এসেছেন। ভোট হলেই বুঝতে পারবেন কী হাল হয় তাঁর। এই নন্দীগ্রাম থেকে শুভে্ন্দু আর বিধায়ক নির্বাচিত হতে পারবেন না।
খড়গপুরে হেরে নন্দীগ্রামে খোঁচা
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের পরই খড়গপুর উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দিলীপ ঘোষের ছেড়ে যাওয়া আসনটি বিজেপি ধরে রাখতে পারেননি। যেখানে লোকসভা নির্বাচনে ৪৭ হাজার ভোটে এগিয়েছিল বিজেপি, সেই আসন তৃণমূলের কাছে ২০ হাজারেরও বেশি ভোটে হারতে হয় দিলীপ ঘোষদের। শুভেন্দ্ুর কৃতিত্বে নিজের গড়ে হার মানতে হয় দিলীপ ঘোষকে। তারপরই নন্দীগ্রামে গিয়ে শুেভ্ন্দুকে খোঁচা দিয়ে আসেন তিনি। তার জবাব পেলেন মঙ্গলবারের সভায়।