'টিএমসি'-র নতুন ব্যাখ্যা দিলেন শুভেন্দু, সঙ্গে মুকুল রায়কে এমনই কড়া আক্রমণ
রাজনীতিতে পরিযায়ী পাখিরা মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। এই ভাষাতেই বীরভূমের তাঁতিপাড়ার সভা থেকে মুকুল রায়কে কড়া আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সভা থেকে টিএমসি-র নতুন ব্যাখ্যাও দেন।
রাজনীতিতে পরিযায়ী পাখিরা মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। এই ভাষাতেই বীরভূমের তাঁতিপাড়ার সভা থেকে মুকুল রায়কে কড়া আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সভা থেকে টিএমসি-র নতুন ব্যাখ্যাও দেন তিনি।
টিএমসি-র টি মানে টেম্পল, এম মানে মস্ক এবং সি মানে চার্চ। সব মিলিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস হল সর্বধর্ম সমন্বয়ের দল। বীরভূমের রাজনগর ব্লকের তাঁতিপাড়ার সভায় এমনটাই বললেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, কেন্দ্রে থাকা দলের কাছে হিন্দু, মুসলমান, শিখ, খ্রিস্টান ধর্মের মধ্যে ভাগাভাগি ছাড়া আর কোনও অ্যাডেন্ডা নেই। কেন্দ্র চেষ্টা করলেও, বাংলার মাটিতে এসব চলে না। ধর্মের রাজনীতি আমদানি করে রাজ্যের উন্নয়ন ব্যাহত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু।
সভায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়ই ছিলেন আক্রমণের লক্ষ্যে। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, যাঁরা নিজের পাড়া. দাঁড়িয়ে ভোটে জিততে পারে না, পঞ্চায়েত সদস্য কিংবা পুরসভার কাউন্সিলর হওয়ার যোগ্যতা নেই, তাঁরাই মানুষকে বিভ্রান্ত করে বেরাচ্ছেন।
৬ জানুয়ারি, শনিবার একই জায়গায় সভা করেছিল বিজেপি। সেই সভায় হাজির ছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সায়ন্তন বসু-সহ আরও অনেকে। সেই জায়গায়ই বৃহস্পতিবার সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ করেন শুভেন্দু। সকলের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখার আহ্বান জানান তিনি। সভায় হাজির ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবং রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহও। তাঁরাও মুকুল রায়কে কড়া আক্রমণ করেন। অনুব্রত মণ্ডল মুকুল রায়কে মীরজাফর, চোর বলেও সম্বোধন করেন।