পুলিশ বলছে লোক ঢুকেছে পাঁচিল পেরিয়ে! সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত গণ্ডগোল বহরমপুরে
সকাল থেকেই বহরমপুরের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত গণ্ডগোলের খবর পাওয়া গিয়েছে। সুযোগ পেলেই যে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই,সেই সব বুথে তৃণমূল ছাপ্পা ভোট করাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস।
সকাল থেকেই বহরমপুরের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত গণ্ডগোলের খবর পাওয়া গিয়েছে। সুযোগ পেলেই যে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই, সেই সব বুথে তৃণমূল ছাপ্পা ভোট করাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কখনও গাড়িতে, কখনও মোটর সাইকেলে সেখানে পৌঁছে যাচ্ছেন বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী।
সকালের শুরুটা হয়েছিল বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজিয়েট স্কুলে এজেন্টদের বসতে না দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে। ভোট শুরুর আগে মকপোল চলাকালীন সেখানে পৌঁছে যান অধীর চৌধুরী। বুথে এজেন্ট ঢুকিয়ে এলাকা ছাড়েন তিনি। এরপর শহরেরই অপর বুথ। সেই বুথেও নেই কেন্দ্রীয় বাহিনী। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিডি কলেজের বাইরের দরজায় প্রহরা থাকার কথা থাকলেই ভোট শুরুর সময় তা ছিল না বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। সেই সুযোগে তৃণমূলের লোকেরা বুথে ঢুকে ছাপ্পা ভোট দেয় বলে অভিযোগ। কংগ্রেসের চেঁচামেচিতে গেটে পুলিশি প্রহরা শুরু হয়। সেখান থেকে বহিরাগত এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করে। সেখানে দায়িত্বে থাকা এক পুলিশকর্মী জানান, গেট দিয়ে নয়, পাঁচিল টপকে সেখানে বহিরাগতরা ঢুকেছে।
যদিও ক্যামেরায় দেখা দিয়েছে, বুথের সামনে নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যেই ঘোরা ফেরা করছেন তৃণমূল ও কংগ্রেস সমর্থকরা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, যখন যে সুযোগ পাচ্ছে এলাকায় জোর খাটাচ্ছে। যদিও স্থানীয় কংগ্রেস নেতার দাবি, বুথ থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়ায়, ফের এজেন্ট ফর্ম পৌঁছে দিতে তারা সেখানে গিয়েছিলেন।
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি! বুথ ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন পোলিং অফিসার]
স্থানীয়
সূত্রে
জানা
গিয়েছে,
ওই
বুথের
চারপাশ
দিয়ে
পাঁচিল
রয়েছে।
সেই
পাঁচিল
বেশ
উঁচু।
আর
পাঁচিলের
বাইরে
রয়েছে
দোকান।
ফলে
পাঁচিল
টপকে
বুথের
কাছে
কারও
চলে
যাওয়াটা
অসম্ভব।
[আরও পড়ুন:পশ্চিমবঙ্গ লোকসভা নির্বাচন ২০১৯-এর সব রকমের আপডেট পেতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে]