১০ লক্ষাধিক গাড়ি বাতিলের সিদ্ধান্ত রাজ্যে! তালিকায় আপনারটা নেই তো?
১০ লক্ষাধিক গাড়ি বাতিলের সিদ্ধান্ত রাজ্যে! তালিকায় আপনারটা নেই তো?
১০ লক্ষাধিক গাড়ি বাতিলের সিদ্ধান্ত রাজ্য পরিবহণ দফতরের। ১৫ বছরের পুরানো গাড়িগুলি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 'ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল'-এর এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা রয়েছে। মূলত দূষণ রোধ সহ একাধিক বিষয়কে মাথায় রেখে এহেন নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের। আর সেটাই এবার কার্যকর করার পথে রাজ্য পরিবহণ দফতর।
তবে নির্দেশ কার্যকর করা হলেও গাড়ি মালিকদের একটা 'সুযোগ' দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। যাতে সাধারণ মানূষের কোনও সমস্যা না হয় সেদিকে ভেবেই এই ভাবনা রাজ্য পরিবহণ দফতরের। পাশাপাশি স্ক্রেপ হয়ে যাওয়ার পরে টাকা যাতে গাড়ি মালিক পেয়ে যান সে বিষয়টিও নজরে রাখছে সরকার।
গাড়ি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু!
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যে ১৫ বছরের উপরের গাড়ি বাতিলের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু করে দেওয়া হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের তরফে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাস অর্থাৎ মে'মাসের মধ্যেই গাড়ি মালিকদের কাছে চিঠি যাবে পরিবহণ দফতরের তরফে। যে সমস্ত গাড়ির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে সেই সমস্ত মালিকদের কাছেই পরিবহণ দফতরের এই চিঠি পাঠানো হবে। এমনটাই খবর। আগামী সপ্তাহ থেকেই হয়তো এই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আওতায় ব্যাক্তিগত এবং বাণিজ্যিক সব গাড়িই পড়বে বলে জানা যাচ্ছে।
‘স্ক্র্যাপ পলিসি’ রাজ্য সরকার ঘোষণা করবে
তবে এই সিদ্ধান্তে সমস্যার মধ্যে গাড়ি মালিকরা পড়বেন বলেই মনে করা হচ্ছে। এক সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ১৫ বছরের বেশি হয়ে গিয়েছে রাজ্যে এমন গাড়ির সংখ্যা ১০ লক্ষ। তিন দফায় এই গাড়ি বাতিলের প্রক্রিয়া কাজ করবে বলে জানা যাচ্ছে। প্রথমে শুনানি হবে। আর সেই শুনানিতে দিয়ে বাণিজ্যিক ও ব্যক্তিগত গাড়ির মালিকদের উপস্থিত থাকতে বলা হবে নোটিশের মাধ্যমে। আর সেখানে আপাতত গাড়ি রাস্তায় না নামানোর কথাও জানানো হবে। তবে শুনানি চলাকালীনই 'স্ক্র্যাপ পলিসি' রাজ্য সরকার ঘোষণা করবে বলে জানা যাচ্ছে।
থাকছে বিকল্প ব্যবস্থাও
হঠাত করে ১৫ বছর বেশি ব্যাক্তিগত এবং বাণিজ্যিক গাড়ি বাতিলে সমস্যা হতে পারে। সেদিকে তাকিয়ে বিকল্প ব্যবস্থাও থাকছে বলে রাজ্য সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, কোনও ব্যক্তি যদি তাঁর গাড়িকে সিএনজি কিংবা বিদ্যুৎ চালিত করে নিতে চান তাহলে সেটিকে চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে। যেহেতু পরিবেশ বান্ধব হবে সেটি। আর সেই কারণেই এই পদক্ষেপে ছাড় দেবে রাজ্য পরিবহণ দফতর।