বাংলায় দাঙ্গা বাধানোর ফন্দি আঁটছে রাজ্য সরকার, অভিযোগ রাহুল সিনহার
প্রসঙ্গত, শনিবার ছিল বিজেপি-র রাজ্য কমিটির বৈঠকের প্রথম দিন। এই বৈঠক চলবে রবিবার পর্যন্ত। বৈঠকের প্রথম দিনেই সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে রাহুল সিনহা বলেছেন, "রাজনীতিকভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে এখন নরেন্দ্র মোদীকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই পুলিশ-প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে তারা এ রাজ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া এবং হুগলিতে এই অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। এর আগে আমরা ভাসাভাসা খবর পেয়েছিলাম। নিশ্চিতভাবে কিছু পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু সম্প্রতি গোয়েন্দা দফতরের থেকেই আমরা এই গোপন খবর পেয়েছি। আমরা সব জেলার কার্যকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি, যেন শাসক দলের এই অভিসন্ধির ব্যাপারে সচেতন থাকেন। হিন্দু ও মুসলিম ভাইদের কোনও প্ররোচনায় পা না দিতে অনুরোধ করছি।"
এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে চাননি তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, "রাহুল সিনহার বক্তব্য পুরোটা আমি শুনিনি। বিস্তারিত না জেনে মন্তব্য করব না।"
বিজেপি তাদের রাজ্য কমিটির বৈঠকে আসন্ন পুরভোট ও ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছে। রাজ্যের সব জেলাকে ৩৬ ভাগে ভাগ করে প্রত্যেক ভাগের জন্য একজন করে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। এই পর্যবেক্ষকরা জেলার সঙ্গে রাজ্য কমিটির সমন্বয় রক্ষা করে চলবেন। আগামী জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে সারা রাজ্যকে পাঁচ ভাগে ভাগ করে ব্লক সভাপতিদের নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হবে। এই মাসেরই দ্বিতীয় সপ্তাহে দলের চিন্তন বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।