ফের আইনি জটিলতায় ডিএ! হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য
হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য
মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ দেওয়া নিয়ে ফের একবার আইনি জটিলতা! কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার। আজ শুক্রবার হাইকোর্টে বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে হলফনামা দিয়ে এমনটাই রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে। জানা যাচ্ছে, আগামী সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হতে পারে। ফলে নতুন করে ফের একবার আইনি জটিলতা শুরু হতে চলেছে। এমনটাই মত আইনজীবীমহলের।
এই সরকার দিউলিয়া হয়ে গিয়েছে
আর এরপরেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদে পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা, ডিএ রাজ্য সরকারকে দিতে হবে। শুধু তাই নয়, প্রতারক সরকার বলেও কটাক্ষ রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের। গত ছয় বছর প্রতারণা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ সংগঠনের। তবে আইনি লড়াই জারি থাকবে বলে জানিয়েছে এই সংগঠন। তবে সুপ্রিম কোর্টে শক্তিশালী আদেশনামে পাওয়া যাবে বলে আশা তাঁদের। তবে এই বিষয়ে সরকারকে আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারীও। তাঁর দাবি, এই সরকার দিউলিয়া হয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র সময় নষ্ট করছে বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতার।
তিন মাসের মধ্যে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটাতে হবে।
বলে রাখা প্রয়োজন, গত মে মাসেই কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে জানিয়ে দেয় যে, তিন মাসের মধ্যে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটাতে হবে। কার্যত সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কেই বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ এই নির্দেশের পরেই কেন্দ্রীয় হারে অর্থাৎ ৩১ শতাংশ হারে ডিএ রাজ্য সরকারের দেওয়ার কথা। কিন্ত্য নতুন করে ফের একবার জটিলতা তৈরি হয়। অন্যদিকে সিঙ্গল বেঞ্চ নির্দেশে জানায় তিন মাসের মধ্যেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। কিন্ত্য সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও কিছু ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে আদালত অবমাননার একটি মামলা দায়ের হয়।
হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার
আর এই জটিলতার মধ্যেই ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন মামলা করে রাজ্য। রায় পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানিয়ে মামলা দায়ের হয়। রাজ্য জানায়, বেশ কিছু তথ্য দেওয়ার আছে। যদিও সেই মামলাও খারিজ করে দেয় কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশিন বেঞ্চ। আর এর মধ্যেই ফের একবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে কর্মচারী ইউনিয়নের তরফে শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল করে রাখা হয়েছে। ফলে মামলা কোন দিকে গড়ায় সেদিকেই নজর সবার। ইতিমধ্যে আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাজ্য সরকারি কর্মীরা।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে কতগুলি আসন পাবে তৃণমূল, তোলপাড় দিলীপের ভবিষ্যদ্বাণীতে