তৃণমূলে ‘শিখণ্ডি’ রত্না! বিজেপিতে কীসের বাধা, শোভনকে নিয়ে জল্পনা বাড়ালেন বৈশাখী
শোভনের তৃণূমূলে ফেরার পথে যখন রত্নাকে শিখণ্ডি দাঁড়া কারনো হয়েছে, তখন তাঁর বিজেপিতে সক্রিয় হওয়া ছাড়া আর উপায় কোথায়? রাজনৈতিক মহল এমনটা মনে করলেও, শোভন নিজে কী ভাবছেন? তিনি কি সক্রিয় হবে বিজেপিতে। তাৎপর্যপূর্ণ উত্তরে শোভনকে নিয়ে জল্পানা ফের বাড়িয়ে দিলেন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।

সব দেখতে পাবেন সময়েই
কী করবেন শোভন? বৈশাখী জল্পনা বাড়িয়ে জানিয়ে দিলেন, সব দেখতে পাবেন, সময়ই জানিয়ে দেবে উত্তর। তাঁর এই মন্তব্যেই এখন বিজেপি আশার আলো দেখতে পাচ্ছে। বিজেপি মনে করছে, এবার শোভন ফিরবেন। শোভনের গুরুত্ব যে বঙ্গ বিজেপি দিচ্ছে, সেই আভাসও দেওয়া হয়েছে।

বেহালার নেতা নন, রাজ্য নেতা
বিজেপি এখন শোভনের গুরুত্ব বাড়িয়ে জানাচ্ছে, তিনি কেন ছোট জায়গায় আবদ্ধ থাকবেন। তিনি তো শুধু বেহালার নেতা নন, তিনি রাজ্য স্তরের নেতা। তিনি প্রকাশ্যে আসুন। বিজেপির হয়ে প্রচারে নামুন। তাঁকে কেন্দ্র করেই আসন্ন পুরভোটের পরিকল্পনা চরিতার্থ করবে বিজেপি।

গত দুদিনে বারবার ফোন
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পুরসভা ভোটের দামামা বেজে উঠতেই শোভনকে ময়দানে নামাতে সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। কিন্তু শোভন সাড়া দেননি। শোভনের তৃণমূলের পথ বন্ধ হতে আবার সক্রিয় হয়েছে বিজেপি। গত দুদিনে বারবার ফোন করেছে বিজেপি। শোভনের তরফে কোনও ইতিবাচক সাড়া না পাওয়া গেলেও, বৈশাখী তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত দিয়েছেন।

বিজেপি সাংগঠনিক বৈঠকে ডাক
রবিবার বিজেপি সাংগঠনিক বৈঠকে বসেছিল পুরসভার রণকৌশল নির্ধারণে। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। কিন্তু শোভন উপস্থিত হননি। ২০১৯-এর ২০ অগস্টের পর থেকে বিজেপির কোনও মঞ্চেই দেখা যায়নি শোভনকে। দু'বার অমিত শাহের সভায় ডাক পেয়েও যাননি তিনি।

হাল ছেড়ে দেয়নি বিজেপি
গত দু-দিনে বেশ কয়েকবার শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এতেই প্রমাণিত বিজেপি হাল ছেড়ে দেয়নি শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে। বিশ্লেষকরাই মনে করছে, শোভনকে ফেরানোর সবরকম চেষ্টা করা হবে। পুরসভা ভোটে এগিয়ে আসছে। আর বসে থাকবে না বিজেপি। বিশেষ করে তৃণমূল যখন তাঁদের পথ স্থির করে দিয়েছে।

সুর নরম হয়েছে শোভনের, আশায় বিজেপি
এরই মধ্যে স্পষ্ট হয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায় অজ্ঞাতবাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন। বিজেপির দাবি, এখন অনেকটাই সুর নরম হয়েছে শোভনের। এরপর শোভন যদি ফিরে আসেন, তা অস্বাভাবিক হবে না। শোভন এলে, শোভনকে গুরুত্ব দিয়েই পুরসভা ভোটের রণকৌশল প্রস্তুত করা হবে।

তৃণমূলে ফেরার পথ কণ্টকাকীর্ণ
শোভনের তৃণমূলে ফেরার নেপথ্যে মূল সমস্যা ছিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। শোভন প্রকারান্তরে জানিয়েওছিলেন রত্নার সঙ্গে তাঁর মঞ্চ শেয়ার করা সম্ভব নয়। তারপরই তাঁর তৃণমূলে ফেরার পথ কণ্টকাকীর্ণ হয়ে ওঠে। আর সেই পথে একপ্রকার প্রাচীর পড়ে যায়, রত্নাকে শোভনের বিধানসভায় তৃণমূল দায়িত্ব নেওয়ার পরেই।
শোভনের 'অজ্ঞাতবাস’ কি এবার শেষ হবে, 'ফেরা’র পথে কাঁটা সরাতে ফোনের পর ফোন