বিজেপি কেন ব্যর্থ হল ‘একুশের কুরুক্ষেত্রে’, ফলাফল প্রকাশের দেড়মাস পর মুখ খুললেন শোভন
বাংলার হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচন জিতে তৃণমূল কংগ্রেস টানা তৃতীয়বার সরকার গড়েছে। হাওয়া তুলেও বিজেপি ব্যর্থ পরিবর্তনের সরকার গড়তে। কিন্তু কেন ব্যর্থ হল বিজেপির ‘ফুল’ টিম!
বাংলার হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচন জিতে তৃণমূল কংগ্রেস টানা তৃতীয়বার সরকার গড়েছে। হাওয়া তুলেও বিজেপি ব্যর্থ পরিবর্তনের সরকার গড়তে। কিন্তু কেন ব্যর্থ হল বিজেপির 'ফুল' টিম! নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের প্রায় দেড়মাস পর মুখ খুললেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। কেন বিজেপি ব্যর্থ হয়েছিল তিনি প্রকাশ করলেন তাঁর মত।
ভুল তথ্যে উপর রণনীতি নির্ধারণেই ভরাডুবি
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মতে, বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অমিত শাহকে ভুল খবর দেওয়া হয়েছিল। বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারাবাহিকভাবে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। সেই ভুল তথ্যে উপর রণনীতি নির্ধারণ করে বিধানসভা ভোটে লড়তে গিয়েছিল বিজেপি, যার ফলে ভরাডুবির সম্মুখীন হতে হয়েছে তাদের।
বাস্তব পরিস্থিতির কোনও মিল ছিল না নেতৃত্বের তথ্যে
এবার বিধানসভা ভোটের জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁরা ভার্চুয়াল বৈঠক করতেন। আর রাজ্যের নেতারা ওই বৈঠকে যে সব তথ্য পরিবেশন করতেন, তার সঙ্গে বাস্তব পরিস্থিতির কোনও মিল ছিল না। তার ফল ভুগতে হয়েছে বিজেপিকে। শুধু স্বপ্নই দেখে গিয়েছে বিজেপি, তার বাস্তবায়ন হয়নি।
ভোটের আগেই বিজেপির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন শোভনের
নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশের দেড়মাস পর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিজেপির পরাজয়ের কারণ নিয়ে মুখ খোলা রাজ্য রাজনীতিতে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। শোভন চট্টোপাধ্যায় ভোটের আগেই বিজেপির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করেছিলেন।
সক্রিয় হওয়ার এক-দেড় মাস মধ্যেই বিজেপির প্রতি মোহভঙ্গ
দীর্ঘ ৯ মাস তৃণমূলে নিষ্ক্রিয় থাকার পর ২০১৯ সালে অগাস্টে শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর ১৭ মাস বিজেপিতে অন্তরালে থাকার পর তিনি সক্রিয় হয়েছিলেন ভোটের মুখে। কিন্তু এক-দেড় মাস কাটার পরই বিজেপির প্রতি মোহভঙ্গ। একেবারে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বসলেন।
আসন বদলানো অপমানিত হয়েই সম্পর্ক ছিন্ন করেন শোভন!
শোভন বলেন, বেহালা পূর্বে প্রার্থী হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে বেহালা পশ্চিমে প্রার্থী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আমি তা মানতে পারিনি। আমার আসন বদলানো আমি অপমানিত হয়েছিলাম। সেই কারণেই বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে দিই। উল্লেখ্য, এই ঘটনাকে রাজ্য বিজেপির চক্রান্ত ও বিশ্বাসঘাতকতা বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন শোভন-বান্ধবী বৈশাখী।