মুকুলের উপদেশে বেরোল সমাধান সূত্র! শোভন ছিলেন, আছেন, বললেন বিজেপি নেতা
চায়ের আড্ডাতেই মিলল সমাধান সূত্র। আপাতত দলত্যাগ করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
চায়ের আড্ডাতেই মিলল সমাধান সূত্র। আপাতত দলত্যাগ করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার রাতে নিজের বাসভবনে শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে প্রায় সাড়ে তিনঘন্টা বৈঠক করেন মুকুল রায়। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ই মুকুল রায়কে শোভন-বৈশাখীকে দলের রাখার শেষ চেষ্টা করতে বলেছিলেন। বৈঠক শেষে মুকুল রায় বলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে ছিলেন, আছেন। তবে আগামী দিনে কী হবে ভবিষ্যৎ বলবে। জানিয়েছেন মুকুল রায়।
দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা
শনিবার বিজেপি ছাড়ার হুমকি দিয়েছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়েই। সেই সময় দিলীপ ঘোষের মত ছিল তাঁদের যদি কোনও অভিযোগ থাকে, তাহলে তা যথাযোগ্য জায়গায় জানাতে হবে। সেই মতো দিন দুয়েক ধরে দিল্লিতেই ঘাঁটি গেড়ে ছিলেন বৈশাখী-শোভন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তাঁরা বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা সহ শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদেরকে বলা হয় রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েই তাঁদের চলতে হবে।
সমস্যার সমাধানে মুকুল রায়
শোভন
ও
বৈশাখীকে
বিজেপিতে
রাখতে
শেষ
পর্যন্ত
চেষ্টা
করে
দেখতে
মুকুল
রায়কে
দায়িত্ব
দেয়
বিজেপির
কেন্দ্রীয়
নেতৃত্ব।
সেই
মতো
মুকুল
রায়কে
দিল্লিতে
ডেকে
পাঠানো
হয়
সোমবার।
মুকুল
রায়
দিল্লির
সাউথ
এভিনিউ-এর
বাসভবনে
পৌঁছনোর
বেশ
কিছুক্ষণ
পর
সেখানে
পৌঁছে
যান
শোভন-বৈশাখী।
তাঁদের
কাছ
থেকে
ক্ষোভ,
অভিমান,
কষ্ট
সবই
শোনেন
মুকুল
রায়।
বৈঠক
শেষে
তিনজনেই
জানিয়ে
দেন
বিজেপি
ছাড়ছেন
না
শোভন-বৈশাখী।
মুকুল রায়ের উপদেশ
সূত্রের
খবর
অনুযায়ী
মুকুল
রায়
শোভন-বৈশাখীকে
জানিয়ে
দেন
বিজেপিতে
যোগ
দিয়েই
পদের
জন্য
তাড়াহুড়ো
করা
যাবে
না।
এই
সময়
নিজের
কথাও
উল্লেখ
করেন
মুকুল
রায়।
প্রসঙ্গত
২০১৭-র
অক্টোবরে
মুকুল
রায়
বিজেপিতে
যোগ
দিয়েছিলেন।
প্রায়
একবছর
পর
তাঁকে
বিজেপির
জাতীয়
কর্মসমিতির
সদস্য
করা
হয়।
পাশাপাশি
লোকসভা
ভোটের
সময়ে
ইলেকশন
ম্যানেজমেন্ট
কমিটির
কনভেনর
ছাড়া
অতিরিক্ত
কোনও
পদ
দেওয়া
হয়নি।
সূত্রের
খবর
অনুযায়ী,
মুকুল
রায়
উদাহরণ
দিয়ে
বুঝিয়ে
দেন,
বিজেপিতে
অনেক
সিনিয়র
নেতানেত্রী
রয়েছেন।
[আরও পড়ুন: গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডের বন্দুক খুঁজতে ২.২ কোটি টাকা খরচ তদন্তকারীদের]