জৌলুস গেলেও পুজোর বনেদিয়ানা ফিকে হয়নি মনোহলী জমিদার বাড়িতে
দুর্গাপুজোর ইতিহাস ঘাঁটলে দক্ষিণ দিনাজপুরের মনোহলীর জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজোর উল্লেখ মিলবে। এই জমিদারির পত্তন করেছিলেন তারাচাঁদ বন্দোপাধ্যায়।
দুর্গাপুজোর ইতিহাস ঘাঁটলে দক্ষিণ দিনাজপুরের মনোহলীর জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজোর উল্লেখ মিলবে। এই জমিদারির পত্তন করেছিলেন তারাচাঁদ বন্দোপাধ্যায়। দুর্গাপুজোর সূচনা করেন রমেশ চন্দ্র বন্দোপাধ্যায় ও যোগেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। কালের নিয়মে জমিদারি এখন নিশ্চিহ্ন প্রায়। ঠাকুর দালানে এখন ঘুঘু চড়ে বেরায়। খসে পড়ছে দালানের চাঙর।
কিন্তু দুর্গাপুজোয় কোনও পরিবর্তন হয়নি। ১২৭ বছরের পুরনো এই দুর্গাপুজো এখন জমিদারির গণ্ডি পেরিয়ে সর্বজনীন দুর্গাপুজোয় পরিণত হয়েছে। শরিকদেরও দেখা পাওয়া যায় না। মনোহলী গ্রামের বাসিন্দারা এখন এই জমিদার বাড়ির পুজোকে সর্বজনীন পুজোয় পরিণত করেছেন। তৈরি হয়েছে পুজো কমিটি। তারাই জমিদার বাড়ির চিরাচরিত রীতি ও প্রথা মেনে পুজো করে থাকেন।
জানা যায় জমিদার ঘরানা থাকাকালীন তপন এলাকার আশেপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজার হাজার মানুষ এই পুজো দেখতে আসতেন । এবং পুজোতে অংশগ্রহণ করতেন সেই সময় পুজোর কটাদিন এলাকার কারো বাড়িতেই রান্না হত না সকলেই জমিদারের অতিথি হিসেবে জমিদার বাড়িতে অন্ন গ্রহন করতেন। এখন সেই এলাহি আয়োজন না হলেও গ্রামবাসীরা মিলিত ভাবে পুজো করে থাকেন।