সোনারপুর-গড়ফায় দুই ভিন্ন রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় যোগ রয়েছে, দাবি পুলিশের
কলকাতা, ২২ জানুয়ারি : দুটি ভিন্ন ঘটনা। অথচ দুই ঘটনারই যোগ স্পষ্ট। সোনারপুর ও গড়ফার দুটি ভিন্ন খুনের ঘটনায় যোগ খুঁজে পেল পুলিশ।
প্রথম ঘটনাটি সোনারপুর থানা এলাকার হরিনাভিতে। বৃহস্পতিবার সকালে ফ্ল্যাটের দরজা খুলে মা ও ছেলের গলাকাটা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল রাত থেকেই নিখোঁজ মৃত মহিলার স্বামী শঙ্কর কর্মকার। আবাসনের কেয়ারটেকার পুলিশকে জানান, গতকাল রাতেই ফ্ল্যাটের চাবি তাঁর হাতে দিয়ে যান শঙ্করবাবু। বলে যান, স্বামী ও ছেলে দেরী করে ঘুমিয়েছে তাই সকালে না ডাকতে। সকালে সন্দেহ হওয়ায় আবাসনের অন্যান্য কয়েকজন বাসিন্দাদের নিয়ে শঙ্করবাবুর ফ্ল্যাটে যান কেয়ারটেকার সেখান থেকেই দুটি দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
অন্যদিকে একই পরিবারের তিনজনের রহস্যমৃত্য়ুর খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এখানেও ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে এক মহিলা , শিশু ও এক মধ্যবয়স্ক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এরপরই পুলিশ তদন্তে এসে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারে হরিনাভি কাণ্ডে মৃতার স্বামী শঙ্কর কর্মকার যিনি পলাতক ছিলেন, গড়ফার ফ্ল্যাট থেকে তাঁরই মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশের অনুমান, শঙ্কর কর্মকারের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। পরিবারের বাইরেও একটি আলাদা সংসার ছিল তাঁর। তাঁর অবৈধ একটি সন্তানও ছিল। এই ঘটনা স্ত্রী জানতে পেরে যাওয়ায় তাঁকে ও ছেলেকে খুন করেন শঙ্করবাবু। এরপর লজ্জার হাত থেকে বাঁচতে তাঁর জীবনের অবৈধ মহিলা ও শিশুটিকে নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
ঘটনার সত্যতা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাঁচটি মৃতদেহই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।