জোর ধাক্কা বিজেপিতে, গেরুয়া শিবির ছেড়ে দলে দলে তৃণমূলে যোগ ৬ পঞ্চায়েত সদস্যের
এক আধ জন নয়, একসঙ্গে হাফ ডজন বিজেপির জয়ী সদস্য দল ছাড়লেন। বিজেপির দলত্যাগীরা দল বেঁধে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় পুরো পঞ্চায়েতের চিত্রটাই আমূল বদলে গেল।
এক আধ জন নয়, একসঙ্গে হাফ ডজন বিজেপির জয়ী সদস্য দল ছাড়লেন। বিজেপির দলত্যাগীরা দল বেঁধে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় পুরো পঞ্চায়েতের চিত্রটাই আমূল বদলে গেল। রাতারাতি বিজেপির 'পাক্কা' পঞ্চায়েত হয়ে গেল তৃণমূলের। গেরুয়া পতাকা আর উড়ল না। জয় জয়কার হল তেরঙ্গারই। সেই তেরঙ্গায় আবার ঘাসফুলে শোভা।
ভোট-যুদ্ধে হারলেও, বিজেপির জয়ীদের দলে ভিড়িয়ে ওস্তাদের মার শেষ রাতে দিয়ে দিল তৃণমূল। বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি পঞ্চায়েতের পরিবর্তন ঘটে গেল অচিরেই। ১৬ আসনের এই পঞ্চায়েতে বিজেপি ৯টি আসনে জয়ী হয়। তৃণমূল পায় ৭টি আসন। বিজেপি ছেড়ে চঞ্চল নায়েক, সোনালি বাউরি, ঝর্না কুন্ডু, রীতা গোরক্ষী, শ্যামলী মাজি ও সৌরভী সিনহা দলত্যাগ করেন। এই ৬ জনের দলবদলে পঞ্চায়েতের চিত্রটাই বদলে যায়।
বনধের আগের রাতে এই দলবদলের পর তৃণমূলের আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ১৩ আর বিজেপির ৩। অর্থাৎ পঞ্চায়েতের চাবি উঠল তৃণমূলের হাতে। ভোটে জিতেও বিজেপির জারিজুরি শেষ। কিন্তু কী করে সম্ভব হল এই হিসেবের বদল। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া সদস্যদের দাবি, এখানে বিজেপির টিকিটে জিতেছিল তৃণমূলের বিক্ষুব্ধরা। আমরা তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ।
তৃণমূলের এই বিক্ষুব্ধরা ঘরে ফিরে আসায় তৃণমূল শক্তিশালী হল আর ক্ষমতাতেও ফিরল। আমাদের জয়ের বিজেপির কোনও কৃতিত্ব নেই। এই অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেস আশাবাদী, বাকি তিনজনও বিজেপি ছেড়ে 'ঘর'-এ ফিরবেন। ফলে বিরোধীশূন্য হবে পঞ্চায়েত। এই দলবদলে বিজেপির সংগঠনেও প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তৃণমূল জেলা সভাপতি অরূপ খাঁ বলেন, বিজেপি সাংগঠনিকভাবে এখানে শক্তিশালী নয়। তৃণমূলের বিক্ষুব্ধদের কাজে লাগিয়ে জিতেছিল। তবে আমাদের ভুল বোঝাবুঝি মিটে গিয়েছে। ফলে ঘরের ছেলেরা ঘরে ফিরে এসেছে। বিজেপি এখান থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। আর বিজেপির জেলা সভাপতি স্বপন ঘোষের কথায়, মানুষ ভোট দিয়েছিল বিজেপিকে, বিজেপির পদ্মফুল চিহ্নে। ব্যক্তিগত কাউকে ভোট দেয়নি। সেটা ভুলে গেলে চলবে না। এর ফল ভুগবে তৃণমূল। আসন্ন লোকসভাতেই যোগ্য জবাব দেবে মানুষ।