সিতরাংয়ের ল্যাজের ঝাপটা বেসামাল হবে সমুদ্র, উপকূলে ঢেউ উঠবে ৬ ফুটের বেশি
সিতরাংয়ের ল্যাজের ঝাপটা বেসামাল হবে সমুদ্র, উপকূলে ঢেউ উঠবে ৬ ফুটের বেশি
সময় যত এগোচ্ছে তত স্পষ্ট হচ্ছে ধূর্ণিঝড় সিতরাংয়ের গতিপথ। আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাসে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন বঙ্গবাসী। অবশেষ বাংলাদেশেই ল্যান্ডফল করছে সিতরাং। তবে ল্যাজের ঝাপটা বঙ্গের একাধিক উপকূলে পড়বে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। আর সেই ল্যাজের ঝাপটায় উত্তাল হবে সমুদ্র। আবহাওয়া বিদরা জানিেয়ছেন ৬ ফুট উঁচু সমুদ্রের ঢেউ হবে। আগে থেকেই তা নিেয় সতর্ক করেছে হাওয়া অফিস। উপকূলবর্তী এলাকায় সেই সম সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বাংলাদেশেই ল্যান্ডফল
বঙ্গে আর ধ্বংসলীলা চালাবে না ঘূর্ণিঝড় সিতরাং। বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি। রবিবার সকাল থেকে শক্তিবাড়িয়ে সেটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে আগামী ৬ ঘণ্টার মধ্যে সেটি শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হবে। তারপরেই সেটি এগোতে শুরু করবে উপকূলের দিকে। বাংলাদেশের উপকূলেই রযেছে ঘূর্নিঝড়টির অভিমুখ। নিশ্চিত হতে পেরেেছন আবহাওাবিদরা। তবে বাংলায় যে একেবারেই তার প্রভাব পড়বে না তা নয়। সিতরাংের ল্যাজের ঝাপটা পড়বে বঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে।
সিতরাংয়ের ল্যাজের ঝাপটা বঙ্গে
ঘূর্ণিঝড় সিতরাং সর্বশক্তি নিয়ে ধেয়ে আসছে। তবে সেটা বাংলাদেশ উপকূলের দিকে। তবে বঙ্গ েয একবারে বিপদুক্ত তা নয়। সিতরাংয়ের ল্যাজের ঝাপটায় বিধ্বস্ত হবে বঙ্গের উপকূল বর্তী জেলাগুলি। দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে রবিবার সকাল থেকেই মেঘে ঢেকেছে আকাশ। রাত থেকে আবহাওয়া আরও খারাপ হতে শুরু করবে। সোমবার ৯০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। উত্তাল হয়ে উঠবে সমুদ্র।
৬ ফুট উঁচু ঢেউ উঠবে
উপকূলবর্তী জেলা গুলিতে আগে থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সুন্দরবনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে সিতারংয়ে। ২৪-২৫ দুদিন সুন্দরবনে ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের আগেৈই সতর্ক করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুরেও উপরকূলবর্তী এলাকা গুলিতে সতর্কতা জারি করা গয়েছে। সমুদ্র ৬ ফুট উঁচু ঢেউ উঠতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। সেকারণে পর্যটকদের আগামী ২ দিন সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সমানে মাইকিং করা হচ্ছে উপকূলবর্তী এলাকায়।
পুজোর আনন্দ মাটি
দুর্গাপুজোতেও বর্ষণ মাটি করেছে আনন্দ। আবার কালীপুজোতেও বর্ষাসুরের তাণ্ডব। অনেকেই কালীপুজোয় দিঘা-মন্দারমনি বেড়াতে গিয়েছেন। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় সিতরাংয়ের দাপটে সে আনন্দ মাটি হয়ে গিয়েছে তাঁদের। ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতায় তাঁদের সমুদ্রস্নান তো দূরের কথা সমুদ্র সৈকতেও যেতে দেওয়া হচ্ছে না। হোটেলের ঘর থেকেই সমুদ্র উপভোগ করতে হবে।
ঘূর্ণিঝড় সিতরাং-এর প্রভাব উত্তরবঙ্গেও! বাংলার কোন জেলায় কেমন বৃষ্টি, একনজরে আবহাওয়া পূর্বাভাস