মুকুলের জায়গায় আসবেন শুভ্রাংশু! পিতা-পুত্রের তৃণমূলে যোগদানের পরই জল্পনা তুঙ্গে
মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন। কিন্তু বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেননি। সূত্রের খবর, তিনি কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক পদ ছাড়তে পারেন। আর উপনির্বাচনে তাঁর জায়গায় দাঁড়াতে পারেন শুভ্রাংশু রায়।
মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন। কিন্তু বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেননি। সূত্রের খবর, তিনি কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক পদ ছাড়তে পারেন। আর উপনির্বাচনে তাঁর জায়গায় দাঁড়াতে পারেন শুভ্রাংশু রায়। মুকুলের সঙ্গে শুভ্রাংশুও যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। এ ব্যাপারে অবশ্য এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি, পুরোটাই জল্পনার পর্যায়ে রয়েছে।
পিতার স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন শুভ্রাংশু রায়
রাজনৈতিক মহলের জল্পনা মুকুল রায়কে রাজ্যসভায় সাংসদ করে পাঠানো হতে পারে। বিধায়ক পদে ইস্তফার পর উপনির্বাচনে পিতার স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন শুভ্রাংশু রায়। সেক্ষেত্রে বীজপুরে হারের পর শুভ্রাংশুর কৃষ্ণনগর উত্তরে ফের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। তাঁকে বিধায়ক হিসেবে ফিরিয়ে আনা হতে পারে বিধানসভায়।
মুকুল রায়কে ছাপিয়ে শুভ্রাংশর প্রাপ্তি নিয়ে চর্চা
রাজনৈতিক মহলের একাংসের আলোচনায় এমন নানা সম্ভাবনার কথা উঠে আসছে। সেইসঙ্গে শুভ্রাংশুকে যুব সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদও দেওয়া হতে পারে বলে জল্পনা। মুকুল রায়কে ছাপিয়ে শুভ্রাংশর প্রাপ্তি নিয়েই এখন বেশি আলোচনা হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। মুকুল রায়কেও এ ব্যাপারে পিছনে ফেলে দিয়েছেন শুভ্রাংশু।
শুভ্রাংশুকে যুব সংগঠনের বড় দায়িত্বে আনা হতে পারে!
সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস ও যুব তৃণমূলে বেশ কিছু রদবদল হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। অভিষেকের জায়গায় যুব-র দায়িত্বে আনা হয়েছে সায়নী ঘোষকে। এবার শুভ্রাংশুকেও যুব সংগঠনের বড় দায়িত্বে আনা হতে পারে। রাজনৈতিক মহেল জল্পনা, অদূর ভবিষ্যতে শুভ্রাংশুকে যুব তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতির দায়িত্বও দেওয়া হতে পারে।
উপনির্বাচনে প্রার্থী থেকে সাংগঠনিক পদ সব সিদ্ধান্ত মমতার
তবে এখনও এসব রাজনৈতিক জল্পনার পর্যায়ে সীমাবদ্ধ থেকেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই এ সব ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। এদিন যেমন মুকুল-শুভ্রাংশুকে নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। তেমনই আলোচনা করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুকুল রায়কে কোন পদ দেওয়া হবে, সেই প্রশ্নর উত্তরে সোজাসাপ্টা উত্তর মমতার। উপনির্বাচনে প্রার্থী থেকে সাংগঠনিক পদ সব সিদ্ধান্তই নেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো।