বিজেপিতে বেসুরোরাই নাকি সুরে বাজছেন, শান্তনুর দাবিতে আরও চড়ল জল্পনার পারদ
বিজেপিতে বেসুরোরাই নাকি সুরে বাজছেন, শান্তনুর দাবিতে আরও চড়ল জল্পনার পারদ
বিজেপিতে বেসুরোদের ভিড় বাড়ছে। বাড়ছে বিদ্রোহ। বিদ্রোহী নেতারা শুধু বৈঠক করেই ক্ষান্ত থাকছেন না। বিজেপির ঘরের কোন্দলকে রাস্তায় নামিয়ে আনলেন মতুয়া ঠাকুরবাড়ির মুখ শান্তনু। এবার বিদ্রোহী নেতাদের নিয়ে তিনি মাতলেন চড়ুইভাতিতে। পরপর তিন দিন বিদ্রোহীদের নিয়ে নানা কর্মসূচিতে তিনি জল্পনা বাড়িচে চলছেন।
মতুযা-গড় থেকে সর্বপ্রথম বিদ্রোহের আঁচ
বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি হওয়ার পরই বিক্ষোভের আঁচ গনগনে হয়েছে। মতুযা-গড় থেকে সর্বপ্রথম বিদ্রোহের আঁচ পাওয়া যায়। মতুয়া বিধায়করা হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে প্রতিবাদী হন। তারপ মতুয়া মহাসঙ্ঘ থেকেও প্রতিবাদী হয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, মতুয়ারা আর কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করবে না।
মতুয়া বিধায়করা ছাড়াও বিদ্রোহে যোগ আরও
তারপরই আসরে নামেন মতুয়া মহাসঙ্ঘের অন্যতম সঙ্ঘাধিপতি তথা সাংসদ-কেন্দ্রীয়মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। প্রথমে তিনি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন। তারপর তিনিই মতুয়াদের বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিতে শুরু করেন। মতুয়া বিধায়করা ছাড়াও এই বিদ্রোহে যোগ দেন বিজেপিতে ব্রাত্য জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তিওয়ারি, সায়ন্তন বসুরা।
বিজেপিকে বাঁচাতে সমান্তরাল সংগঠন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি
সম্প্রতি পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসে বিজেপির বিদ্রোহী নেতারা বৈঠক করেন। সেখান থেকেই শান্তনু আওয়াজ তোলেন বিজেপির সংগঠনের এক নেতা দলকে কুক্ষিগত করতে চাইছেন। তাঁকে তৃণমূলের এজেন্ট বলে ব্যাখ্যা করেন শান্তনু ঠাকুর। তারপর বিজেপিকে বাঁচাতে সমান্তরাল সংগঠন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
বনগাঁয় বনভোজনে মিলিত হলেন বিজেপির বিদ্রোহীরা
তারপর ঠাকুরনগরে ফের মতুয়াদের নিয়ে শান্তনুর বৈঠক এবং সেখানে বিজেপি বিধায়কদের যোগদান নিয়েও চর্চা হয়। এরপর এদিন বনগাঁয় বনভোজনে মিলিত হলেন বিজেপির বিদ্রোহী নেতারা। সেখানে ছিলেন মতুয়া সম্প্রদায়ের বিধায়করা। ছিলেন অন্য নেতারাও। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তিওয়ারি প্রমুখ। আর সর্বোপরি ছিলেন মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।
রণেভঙ্গ দিলেন মতুয়া মহলের এক বিধায়ক
এখানে উল্লেখ্য, মতুয়া বিধায়কদের মধ্যে বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার নেই বনভোজনে। তিনি বিজেপির রাজ্য দফতরে হাজির হয়ে জানিয়েছেন, আমি এভাবে সংগঠন বাইরে থেকে সমান্তরাল সংগঠনে বিশ্বাসী নই। তবে কমিটি গঠনে ৯০ শতাংশ বদল মানা যায় না। নতুন যাঁরা এসেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ভুল বুঝিয়ে এই কমিটি হয়েছে। সেখানে আমার আপত্তি রয়েছে।
বিজেপিতে বিদ্রোহের এই আঁচে আড়াআড়ি বিভাজন
শান্তনুদের ক্ষোভ বিজেপির সাংগঠনের দায়িত্বে থাকে এক নেতার বিরুদ্ধে। তাঁকে ইঙ্গিত করে মন্তব্যই শুধু নয়, পোস্টারও পড়ছে। বনগাঁ লোকালের কামরায় পোস্টার পড়েছে। সেখানে আবার নাম লিখেই পোস্টার সাঁটা হয়েছে। লেখা হয়েছে- পিকের টিমের দালাল অমিতাভ চক্রবর্তী হঠাও, বিজেপি বাঁচাও। বিজেপিতে বিদ্রোহের এই আঁচে আড়াআড়ি বিভাজন সুস্পষ্ট। শান্তনু ঠাকুর বলেন, বেসুরোরা সুরে বাদলে সেটাই গৃহীত হয়।