বিজেপিকে কুক্ষিগত করতে চাইছে একজন! তৃণমূলের এজেন্ট কটাক্ষে কাকে দূষলেন শান্তনু
বঙ্গ বিজেপিতে গৃহযুদ্ধ শুরু। বিজেপির ভিতরে সমান্তরাল আরও একটি বিজেপি গজিয়ে উঠেছে। সুকান্ত মজুমদারের হাতে বঙ্গ বিজেপির দায়িত্ব যাওয়ার পর থেকেই কোন্দল চরম আকার নিয়েছে।
বঙ্গ বিজেপিতে গৃহযুদ্ধ শুরু। বিজেপির ভিতরে সমান্তরাল আরও একটি বিজেপি গজিয়ে উঠেছে। সুকান্ত মজুমদারের হাতে বঙ্গ বিজেপির দায়িত্ব যাওয়ার পর থেকেই কোন্দল চরম আকার নিয়েছে। আরও চরম আকার নিয়েছে নতুন রাজ্য কমিটি গঠনের পর। এদিন সংগঠনের দায়িত্বে থাকে এক নেতার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে শান্তনু ঠাকুর তাঁকে তৃণমূলের এজেন্ট বলে অভিহিত করেন।
১
শনিবার
কলকাতায়
পোর্ট
ট্রাস্টের
একটি
গেস্ট
হাউসে
বিজেপির
বিদ্রোহী
নেতাদের
নিয়ে
একটি
বৈঠকের
পর
কেন্দ্রীয়
মন্ত্রী
তথা
মতুয়া
গড়ের
সাংসদ
শান্তনু
ঠাকুর
বলেন,
বঙ্গ
বিজেপিকে
এক
ব্যক্তি
কুক্ষিগত
করার
চেষ্টা
করছেন।
তিনি
৯০
শতাংশ
মানুষকে
বাদ
দিয়ে
নিজের
পছন্দের
লোককে
কমিটিতে
এনেছেন।
তাঁর
সঙ্গে
শাসক
দলের
যোগ
রয়েছে।
২
প্রকারান্তরে
শান্তনু
ঠাকুর
বলেন,
তৃণমূলের
সুবিধা
পাইয়ে
দিতে
বিজেপির
সংগঠনের
দায়িত্বে
থাকা
ওই
নেতা
কাজ
করে
যাচ্ছেন।
তিনি
পরিকল্পনা
করেই
বাদ
দিয়েছেন
বিজেপির
সংগঠনে
থাকা
অভিজ্ঞ
নেতাদের।
তাঁদের
না
সরালে
তিনি
একার
হাতে
নিতে
পারছিলেন
না
বিজেপিকে।
এদিন
নাম
না
করেই
সংগঠনের
দায়িত্বপ্রাপ্ত
ওই
নেতাকে
তৃণমূলের
এজেন্ট
বলে
পোস্টারও
সাঁটা
হয়।
৩
বিজেপির
রাজ্য
কমিটির
পাশাপাশি
তিনি
আরও
একটি
কমিটি
গড়ার
পরিকল্পনার
কথাও
জানান।
শান্তনু
বলেন,
যে
কমিটি
তৈরি
হয়েছে
তাদের
সৎ
উদ্দ্যেশ্য
নেই।
এই
কমিটিতে
বিজেপির
কোনও
উন্নতি
হবে
না।
যারা
বিজেপিকে
বাড়িয়ে
২
শতাংশ
থেকে
৪০
শতাংশে
নিয়ে
গেল
তাঁদের
কোনও
স্থান
দেওয়া
হয়নি।
তেমনই
৯০
শতাংশ
মানুষকে
কমিটি
থেকে
বাদ
দেওয়া
হয়েছে।
তাই
সমান্তরাল
কমিটি
গড়া
হবে,
যাঁরা
সেই
কমিটিতে
স্থান
পাবেন,
তাঁরাই
বিজেপিকে
এগিয়ে
নিয়ে
যাবেন
ভবিষ্যতে।
প্রধানমন্ত্রীর
হাত
শক্ত
করবেন
তাঁরাই।
৪
শান্তনু
ঠাকুরের
এই
বিস্ফোরক
মন্তব্য
প্রসঙ্গে
বিজেপির
মুখপাত্র
শমীক
ভট্টাচার্য়
বলেন,
ওটা
অফিসিয়ালি
পার্টি
মিটিং
নয়।
তবে
তাঁরা
বিজেপির
বিরুদ্ধে
কিছু
বলেলনি।
কোনও
একজনের
বিরুদ্ধে
বিষোদ্গার
করেছেন।
তবে
যদি
কারও
কোন
বক্তব্য
থাকে
তবে
তাঁকে
দলের
পরিকাঠামোর
মধ্যে
তা
বলতে
হবে।
বিজেপিতে
গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
বলে
কিছ
নেই।
৫
এদিন
পোর্ট
ট্রাস্টের
গেস্ট
হাউসের
সামনে
পোস্টার
সাঁটা
হয়।
তাতে
লেখা-
তৃণমূলের
অজেন্ট
বিজেপির
পচা
নেতারা
সাবধান।
বিজেপিকে
শেষ
করে
নিজেদের
গোছানোর
উদ্যোগ
চলবে
না।
আর
বৈঠক
শেষ
শান্তনু
বলেন,
বঙ্গ
বিজেপিকে
একজন
কুক্ষিগত
করতে
চাইছেন।
কেন্দ্রীয়
নেতৃত্বকে
ভুল
বুঝিয়ে
এই
কমিটি
তৈরি
করা
হয়েছে,
তা
হয়েছে
শুধু
একজন
সংগঠনের
দখল
নেবেন
বলে।
৬
কে
ওই
একজন?
সেই
প্রশ্নের
উত্তরে
শান্তনু
জানিয়েছেন,
সংগঠনের
দায়িত্বে
যিনি
রয়েছেন,
তাঁর
নাম
নিয়ে
তাঁকে
প্রচারে
আনতে
চাই
না।
আপনাদের
নিশ্চয়
বুঝতে
অসুবিধা
হচ্ছে
না
কে
তিনি।
শান্তনু
দাবি
করেন,
তাঁর
সঙ্গে
এই
লড়াইয়ে
রয়েছেন
দিলীপ
ঘোষ
ও
শুভেন্দু
অধিকারী।
তিনি
বারবার
সংগঠনের
দায়িত্ব
থাকা
নেতা
বলে
তা
স্পষ্ট
করার
চেষ্টা
করেছেন।
৭
নতুন
কমিটি
নিয়ে
বিজেপিতে
অসন্তোষ
নতুন
নয়।
হোয়াটস
অ্যাপ
গ্রুপ
ছাড়া
থেকে
শুরু
করে
মতুয়া
বিধায়কদের
বিদ্রোহ,
বাঁকুড়ার
দুই
সাংগঠনিক
জেলার
বিধায়কদের
বিদ্রোহ,
খোদ
শান্তনু
ঠাকুরের
বিদ্রোহ
এবং
অসন্তোষ
নিয়ে
জোরদার
আলোচনা
শুরু
হয়েছে।
প্রকাশ্যে
সাংবাদিক
বৈঠক
করে
বিজেপিতে
সমান্তরাল
রাজ্য
কমিটি
গঠনের
হুঁশিয়ারি
এককথায়
বেনজির।