তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে অগ্নিগর্ভ বাসন্তী, এসডিপিও-এক লক্ষ্য করে চলল গুলি
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে যাওয়া পুলিশকে লক্ষ্য করেই চলল গুলি। কান ঘেঁষে বেরিয়ে যায় গুলি। অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন এসডিপিও
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ৬ ডিসেম্বর : তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে যাওয়া পুলিশকে লক্ষ্য করেই চলল গুলি। কান ঘেঁষে বেরিয়ে যায় গুলি। অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন এসডিপিও। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর কাঁঠালবেড়িয়া গ্রামে। এই ঘটনার পরই পুলিশ লাঠচার্জ শুরু করে, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। নামে র্যাফ, কমব্যাট ফোর্স। গ্রামে ঢুকে তল্লাশি শুরু হয়েছে। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী।
সোমবার রাত থেকেই বাসন্তীর এই কাঁঠালবেড়িয়া গ্রাম উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে। দু'পক্ষের মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি শুরু হয়। চলে গোলাগুলিও। অভিযোগ, বাসন্তীর যুব তৃণমূল নেতা আমানুল্লা লস্করের গোষ্ঠীর সঙ্গে ব্লক তৃণমূল কনভেনর আবদুল মান্নান গাজির গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব এটি। এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে দুই তৃণমূল নেতার লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হন দু'পক্ষেরই বেশ কয়েকজন।
রাতে একদফা লড়াইয়ের পর মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। বোমাবাজি শুরু হয়। সেইসময়ই পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যান ক্যানিং-এর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধ্রুব দাস। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। একটুর জন্য রক্ষা পান তিনি।
আমানুল্লা বাহিনী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ। এরপরই পুলিশ দৃঢ় হাতে নেমে পড়ে 'গুন্ডা' দমনে। ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেলও ফাটায়। নামানো হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী, কমব্যাট ফোর্স, র্যাফ। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেছে বোমা। দু'জনকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। কাঁঠালবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সূত্রপাত।