সারদা: বিস্তারিত প্রমাণ পেলেই রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা, বলল সিবিআই
প্রসঙ্গত, গত ২৮ মে মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রঞ্জিত সিনহা। জিতেন্দ্র সিং হলেন পার্সোনেল অ্যান্ড পাবলিক গ্রিভান্স মন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী। এই মন্ত্রকটি আবার সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জিতেন্দ্র সিং জানতে চান, সারদা মামলার কী খবর? জবাবে সিবিআই ডিরেক্টর বলেছেন, সবে তদন্ত শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে তিনটি এফআইআর রুজু করেছে তারা। এখন অভিযুক্ত নেতা, মন্ত্রী, আমলাদের বিরুদ্ধে চলছে তথ্যপ্রমাণ খোঁজার পালা। বিস্তারিত প্রমাণ হাতে এলেই এক এক করে এঁদের ডাকা হবে। দরকারে গ্রেফতারও করা হবে বলে জানান তিনি। মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেছেন, সিবিআই যেন নির্ভয়ে এর তদন্ত করে। মনে করা হচ্ছে, জিতেন্দ্র সিং মারফত এই বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদীই!
প্রসঙ্গত , ভোটের আগে এ রাজ্যে প্রচারে এসে নরেন্দ্র মোদী সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে তোপ দেগেছিলেন। ক্ষমতায় এলে সারদা নিয়ে জোরদার তদন্ত করারও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি যে কথা রাখতে চলেছেন, তা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। সিবিআই সূত্রে খবর, সারদা মামলার তদন্তে কেন্দ্রীয় সরকার তাদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে। আর তাতেই সিবিআই অফিসারদের মনোবল বেড়ে গিয়েছে। শুধু শাসক দল নয়, অন্যান্য রাজনীতিক দলের কিছু নেতার নামও উঠে আসছে। তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে শীঘ্র।
আরও পড়ুন: সারদায় প্রথম সুবিধাভোগী ব্যক্তির নাম মমতা, বিস্ফোরক অভিযোগ কুণাল ঘোষের
অভিযোগ, বিধাননগর পুলিশ সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে শুধু প্রহসনই করেছে। সুদীপ্ত সেনকে ব্ল্যাকমেইল করে মূলত শাসক দলের যে রাঘববোয়ালরা দিনের পর দিন সুবিধে নিয়ে গেছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদই করেনি পুলিশ। জেলবন্দি সাংসদ কুণাল ঘোষও বলেছেন, আসল অপরাধীদের আড়াল করছে রাজ্য সরকার। তিনি আসল ঘটনা জানেন বলে পুলিশ তাঁর জবানবন্দিই নিচ্ছে না। সিবিআইয়ের কাজ হবে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে তাদের শাস্তিবিধানের ব্যবস্থা করা। আর সিবিআইয়ের এই মনোভাব জানার পরই ভয়ে ভয়ে রয়েছেন শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ।