লোক ঠকাবো, তদন্ত হলেই ষড়যন্ত্র! সারদা ইস্যুতে মমতাকে তোপ প্রাক্তন বিচারপতির
বিভিন্ন চিটফান্ডে টাকা রেখে যাঁরা নিঃস্ব হয়েছেন বা টাকা ফেরত পাচ্ছেন না, তাঁদের নিয়ে ১১ সেপ্টেম্বর কলকাতায় একটি মহামিছিল হবে। চিটফান্ড সাফারার্স ইউনিটি ফোরাম এর উদ্যোক্তা। সেই মিছিলের সমর্থনে গতকাল একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে উপস্থিত ছিলেন অশোকবাবু।
আরও
পড়ুন:
রেল-সারদা
চুক্তির
দায়
মমতার
দিকে
ঠেললেন
মুকুল,
বিপদে
ভাই
পালাচ্ছে,
কটাক্ষ
অধীরের
আরও
পড়ুন:
মুকুলের
মন্তব্যে
ঘোর
অসন্তুষ্ট
মমতা,
দলের
অন্দরে
টানাপোড়েন
আরও
পড়ুন:
রেলের
সঙ্গে
কী
চুক্তি
হয়েছিল
সারদার,
কারা
জড়িত,
তদন্তে
সিবিআই
তিনি বলেছেন, "একজন যিনি নিজেকে সততার প্রতীক বলে দাবি করেন, তিনি সবই জানতেন সারদা গোষ্ঠী সম্পর্কে। নাম আর কী বলব, আপনারা সবই জানেন। রেলের সঙ্গে সারদার চুক্তি হয়েছিল, আর উনি মন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তা জানতে পারলেন না, এটা হয় না। লোক ঠকাব, প্রতারণার কাজে যুক্ত থাকব, তদন্ত শুরু হলে বলব রাজনীতিক ষড়যন্ত্র, এটা তো হয় না। মুখে গণতন্ত্রের কথা বলব আবার চিটফান্ডও রাখব, এ দু'টো একসঙ্গে চলতে পারে না। আমি নিশ্চিত, রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় সারদা কেলেঙ্কারি হয়েছে।" তিনি আরও বলেছেন, "সারদা কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দিতে রাজ্য প্রশাসন চেষ্টার ত্রুটি করেনি। শেষ দিন পর্যন্ত সিবিআই তদন্ত ঠেকাতে সুপ্রিম কোর্টে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছে। আমি আগেই বলেছিলাম, রাজ্য সরকারের সিট একটা লোক দেখানো সংস্থা। কোনও তদন্তই তারা যে করেনি, এটা আজ স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এটাও বোঝা যাচ্ছে, কেন এতদিন সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করেছিল রাজ্য সরকার। অথচ অসম, ওডিশা কেউই সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করেনি।"
প্রসঙ্গত, এই অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায়কেই যৌন নিগ্রহের অপবাদ মাথায় নিয়ে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছিল। যে যুবতী অভিযোগ এনেছিলেন, তিনি কিন্তু আজও পুলিশে এফআইআর করেননি। তদন্তের দাবি জানাননি। শুধু মিডিয়ার কাছে বিবৃতি দিয়েছিলেন। তার জেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল কংগ্রেস এবং একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি চ্যানেল অশোকবাবুর বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করে। কেন্দ্রে তখন ছিল ইউপিএ সরকার। তারাও অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায়ের ওপর চাপ তৈরি করে। কলকাতা হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতিরা অনেকেই বলেছিলেন, অশোকবাবুর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা। অথচ তার যথাযথ তদন্ত হয়নি।
আইনজীবী মহলের একাংশ বলেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন টু-জি মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে রায় দেন অশোকবাবু। পশ্চিমবঙ্গ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান থাকার সময় তাঁর অনেক সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলেছিল। এর জেরেই প্রতিহিংসা নিতে তাঁকে 'বলির পাঁঠা' করা হয়।