সারদা নিয়ে কেন সিবিআই তদন্ত ঢিমেতালে, গোপন বোঝাপড়ার অভিযোগ সেলিমের
শুক্রবার ভোরে প্রেসিডেন্সি জেলে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন সারদা-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত কুণাল ঘোষ। এর পরই রাজ্য তথা জাতীয় রাজনীতিতে ঝড় বয়ে যায়। তড়িঘড়ি এসএসকেএম হাসপাতালে যান সিবিআই অফিসাররা। জেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি প্রশ্ন উঠতে শুরু করে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও।
আরও
পড়ুন:
ঘুমের
ওষুধ
খেয়ে
আত্মহত্যার
চেষ্টা
কুণাল
ঘোষের,
অবস্থা
আশঙ্কাজনক
আরও
পড়ুন:
কুণাল
নিজে
ঘুমের
ওষুধ
খেলেন
নাকি
জোর
করে
খাওয়ানো
হল,
উঠছে
প্রশ্ন
আরও
পড়ুন:
সারদা:
দোষীদের
ধরছে
না
সিবিআই,
জেলেই
আত্মহত্যার
হুমকি
কুণালের
সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম বলেন, "কুণাল ঘোষ যখন তিনদিন আগে আত্মঘাতী হওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন, তখনই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল সিবিআইয়ের। তারা সেটা করেনি। দুর্গা পুজোর পর যখন বিসর্জনের বাজনা বাজল, তখন থেকেই দেখছি সিবিআই আগের মতো দ্রুত গতিতে তদন্ত করছে না। মনে হয়, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপি নেতাদের গোপনে বোঝাপড়া হয়েছে। নইলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হঠাৎ কেন জোর গলায় বলতে যাবেন, মদন-মুকুল চোর নয়! কেনই বা বিজেপি নেতারা আগের মতো সুর চড়াচ্ছেন না? আগেই প্রমাণ লোপাট হয়ে গিয়েছে, অতএব আর কী করা যাবে, হয়তো এই যুক্তি সাজাতে পারে সিবিআই।"
তাঁর আরও দাবি, সিবিআই তদন্তে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হস্তক্ষেপ করুক আদালত। শুধু নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং তদন্তের ক্ষেত্রে আদালত নির্দেশ দিক সিবিআইকে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ নভেম্বর আদালতে দাঁড়িয়ে সিবিআইয়ের দিকেও আঙুল তুলেছিলেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেছিলেন, যা যা তথ্য সিবিআইকে দিয়েছেন, প্রথম চার্জশিটে তার কিছুই উল্লেখ নেই। কারা দোষী, সেটা জেনেও সিবিআই রাঘবোয়ালদের গ্রেফতার করছে না। ওই দিনই তিনি বলেছিলেন, তিনদিনের মধ্যে দোষীদের গ্রেফতার করা না হলে জেলে আত্মঘাতী হবেন। সেই চেষ্টাই কুণাল ঘোষ করলেন শুক্রবার ভোরে।