চিটফান্ডের টাকাতেই এমপি-এমএলএ কেনাবেচা করছে শাসকদল, তোপ সূর্যকান্তের
‘আপনার দলে সাধু কে? তা খুঁজে দেখতে হবে। এখন সিবিআই হেফাজতে তাপস পালও। তিনি আর বেরোতে পারছেন না।’
উত্তর ২৪ পরগনা, ২ জানুয়ারি : রাজ্যে এমএলএ-এপপি কেনাবেচা হচ্ছে। যারা কিনছে তারা টাকা কোথা থেকে পাচ্ছে? তৃণমূলের নাম না করেই উত্তর ২৪ পরগনার শাসন থেকে আক্রমণ শানালেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁর ইঙ্গিত, চিটফাণ্ডের লুঠ হওয়া টাকাতেই এইসব এমপি-এমএলএ কেনাবেচা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করে সূর্যবাবু আরও বলেন, আপনার দলে সাধু কে? তা খুঁজে দেখতে হবে। এখন সিবিআই হেফাজতে তাপস পালও। সারদা থেকে শুরু করে রোজভ্যালি সর্বত্রই জড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রী, বিধায়ক, সাসংদ ও মন্ত্রীরা। যে হাজার হাজার কোটি চাকা লুঠ হয়েছে, তা ফেরত চাই আমরা। লুঠ হওয়া সমস্ত টাকা উদ্ধার করতে হবে অবিলম্বে।
এখন বোঝা যাচ্ছে, তৃণমূল এত টাকা খরচ করে বিধায়ক কিনে দলবদল করাচ্ছে কীসের জোরে। আসলে চিটফান্ডের টাকাতেই ওদের এত বাড়বাড়ন্ত। সেই টাকাতেই বিধায়ক কেনা থেকে শুরু করে জেলা পরিষদ, পুরসভার সদস্যদের টোপ দেওয়া হচ্ছে। লোভের বশবর্তী দয়ে দলবদল করে অনেক সদস্য বদলে ফেলছে জার্সির রঙ। অনেকই এই লোভের কাছে মাথা নত করেনি। তাঁদের সাধুবাদ দেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক।
তৃণমূল কংগ্রেস দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যজুড়ে পরিবর্তনের জোয়ার আছড়ে পড়েছিল। বর্তমানে কোনও জেলা পরিষদই আর অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের দখলে নেই। সমস্ত জেলা পরিষদই দখল করে নিয়েছে তৃণমূল। একইভাবে পুরসভাতেও দখলদারি চালাচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। বিরোধীদের সমস্ত সদস্যকে ভাঙিয়ে নিচ্ছে।
এমন অনেক পঞ্চায়েত বা পুরসভা রয়েছে, যেখানে গতবার ভোটে একটিও আসন জেতেনি তৃণমূল, সেই বোর্ডগুলিও এখন তৃণমূলের দখলে। সেই দখলদারি কীসের জোরে তা এখন প্রকাশ্যে আসছে। সূর্যবাবুর দাবি, ওই লুঠ হওয়া টাকা উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিতে হবে সাধারণ মানুষকে। তা না হলে সিপিএমের আন্দোলন জারি থাকবে।