করোনা রুখতে লকডাউনের ফলে শুনশান উত্তরবঙ্গের রাস্তা
করোনা রুখতে লকডাউনের ফলে শুনশান উত্তরবঙ্গের রাস্তা
লকডাউন ঘোষনার পর মঙ্গলবার সকাল থেকেই শুনশান আলিপুরদুয়ার। শহরের ব্যস্ততম রাস্তা বক্সা ফিডার রোড প্রায় জনশূন্য।দু একজন মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। বিভিন্ন মোড়ে সিভিক ভলান্টিয়ার ও পুলিশ কাজে রয়েছেন।অনেকেই সাম্প্রতিক খবর জানতে মোবাইলে চোখ বুলাচ্ছেন।দোকানপাট বন্ধ।খোলা রয়েছে ওষুধ ও মুদি দোকান।কিন্তু অন্য চিত্র বাজারে।এদিন রাস্তায় বসা নিউটাউন বাজারে বহু মানুষের ভীড়।সবাই কেনাকাটা করতে ব্যাস্ত।খেতে তো হবে।যতই রাজ্য সরকার সচেতনতার কথা বললেও বাজারে ব্যস্ত মানুষের ভীড়।বাজারে আসা মানুষজন জানালেন,সচেতনতা দরকার।সবার মুখে সচেতনতার কথা।কিন্তু হাজির ভীড় বাজারে।
সোমবার বিকেল চারটা থেকে আলিপুরদুয়ার জেলার ভুটান সীমান্তের জয়ঁগা শহরকে লক ডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এদিন সকালে জয়ঁগার বিভিন্ন এলাকার দোকানপাট সব বন্ধ। রাস্তাঘাট ফাঁকা,শুনশান। জয়ঁগার মত ব্যাস্ততম শহরেও শূন্যতা রাস্তায়। হাতেগোনা কিছু লোকজনকে সড়কে দেখা গেল ।প্রশাসন এ ব্যাপারে যথেষ্ট ভূমিকা নিয়েছে।খুশি বেশীরভাগ মানুষ।তবে আরো সচেতনতামূলক পদক্ষেপ জরুরী বলে মনে করছে প্রশাসন।
এদিকে সারা রাজ্যের সাথে সাথে গোটা উত্তর দিনাজপুর জেলাজুড়ে চলছে লক ডাউন। রাজ্যের মানুষের সুবিধার্থে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের নির্দেশ অনুযায়ী ফল, সব্জি, মাছ মাংস ও মুদী দ্রব্য বিক্রি লক ডাউনের আওতার বাইরে রেখেছেন। কিন্তু এই লক ডাউনের সুযোগ নিয়ে যাতে সব্জি সহ মাছ মাংস, নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদীদ্রব্য নিয়ে কোনও কালোবাজারি না হয় তাও পুলিশ প্রশাসনকে নজরে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তাঁরই নির্দেশে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত কালিয়াগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান ও কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ যৌথভাবে কালিয়াগঞ্জের বাজারগুলিতে অভিযান চালায়। ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়কেই বর্তমান এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র পাল।
পুলিশকে সাথে নিয়ে নজরদারি চালান কালিয়াগঞ্জের মহেন্দ্রগঞ্জ ও পুরসভা নিয়ন্ত্রিত পুর বাজারে। লক ডাউনের মাঝেই সকালের দিকে সব্জি মাছ দুধ কিনতে আসা কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দারা জানান, সবকিছুর দামই নিয়ন্ত্রনের মধ্যেই রয়েছে। তবে পুরসভার বাজারে নজরদারী অভিযানকে ক্রেতারা স্বাগত জানিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত কালিয়াগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র পাল জানিয়েছেন, বিক্রেতারা যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নিয়ে কালোবাজারি না করতে পারে সেই জন্য কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশকে সাথে নিয়ে বাজারগুলিতে নজরদারি অভিযান চালানো হচ্ছে। যে কেউ দাম বেশি নিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বাজারে নজরদারীর পাশাপাশি মাইকিংএর মাধ্যমে সাধারন মানুষকে লক ডাউন মান্য করা ও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচারও করে কালিয়াগঞ্জ পুরসভা। বাজারগুলিতে সাধার মানুষের হাত ধোওয়ার জন্য সাবান ও জলের ব্যাবস্থাও করে পুর কর্তৃপক্ষ।