দিল্লিতেও পরিবর্তন, হাওয়া বুঝতে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা
ওয়াকিবহল মহলের ধারণা এই পরিবর্তিত পরিস্থিতির তাপে হাত স্যাকা যাবে কি না তা দেখতেই তৃণমূল প্রধানের এই দিল্লি সফর। তৃণমূলের সামনে এখন তিনটি পথ আছে। কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েই লোকসভা ভোটে লড়াই। বিজেপির সঙ্গে জোট বাধা। আর নয়তো বা কংগ্রেস, বিজেপি আর বামেদের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে আঞ্চলিক দলগুলিকে কাছে টানার চেষ্টা।
জোট নাকি একাই লোকসভা নির্বাচনে লড়বে তৃণমূল,শুরু হয়েছে জল্পনা
প্রথমটির ক্ষেত্রে সম্ভাবনা রয়েছে চার রাজ্যের বিধানসভা ফলে এত খারাপ ফল আশা করতে পারেনি কংগ্রেস। এই ভরাডুবির পর তৃণমূলকে কাঁধে ভর করে লোকসভা নির্বাচনে ওঠার চেষ্টা করবে কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্ত শর্ত মেনেই জোটে যেতে প্রস্তুত হবে কংগ্রেস। কিন্তু কংগ্রেসের এমন দুর্দিনে তৃণমূল কংগ্রেস কী ফের বন্ধুত্বের হাত বাড়ানোর কৌশল নেবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
নরেন্দ্র মোদী তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলে টানার চেষ্টা করলেও রাজ্যের সংখ্য়ালঘু ভোটের দিকে তাকিয়ে তৃণমূলের পক্ষে প্রকাশ্যে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানো সম্ভব না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তৃতীয়টির ক্ষেত্রে অর্থাৎ কংগ্রেস, বিজেপি, বামফ্রন্টের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে জয়ললিতা, নীতিশ কুমারদের নিয়ে তৃতীয় ফ্রন্টের কথা ভাবতে পারেন তৃণমূল নেত্রী।
কোনও জোটে না গিয়ে একা লড়েই লোকসভা নির্বাচনে ৩০ থেক ৩২টি আসন তৃণমূল নিজের দখলে আনতে পারবে বলে মনে করছে তারা। সেক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকার গড়ার ক্ষেত্রে তৃণমূল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। পরিস্থিতিকে আরও ভাল ভাবে বুঝতেই তাই দিল্লির ঝটিতি সফরে মমতা যাচ্ছেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।