প্রবল বর্ষণের আশঙ্কাতে দক্ষিণের একাধিক জেলাতে লাল সর্তকতা জারি করল নবান্ন, খোলা হল কন্ট্রোল রুমও
ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করে একাধিক জেলায় অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। লাগাতার বৃষ্টির কারনে নতুন করে বেশ কয়েকটি জেলাতে নতুন করে বন্যার ভ্রকুটি তৈরি হয়েছে। নিম্নচাপের ঘনঘটা ফের বঙ্গোপসাগরে।
নিম্নচাপের ঘনঘটা ফের বঙ্গোপসাগরে। রবিবার থেকে ফের কলকাতা সহ রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলা গুলিতে ঝেঁপে নামবে বৃষ্টি। ফের মহানগর জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করে একাধিক জেলায় অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। লাগাতার বৃষ্টির কারনে নতুন করে বেশ কয়েকটি জেলাতে নতুন করে বন্যার ভ্রকুটি তৈরি হয়েছে।
এদিকে কয়েক মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে তছনচ হয়ে গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের খড়গপুরের আম্বা গ্রামে। সব মিলিয়ে লাগাতার বৃষ্টি নিয়ে উদ্বিগ্ন নবান্ন।
জরুরি বৈঠক ডাকলেন মুখ্যসচিব
লাগাতার বৃষ্টি চলেই যাচ্ছে। বেশ কয়েকটি জায়গাতে নতুন করে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় রাজ্যে নতুন করে বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। লাগাতার বৃষ্টির কারনে ইতিমধ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে চাষের জমি চলে গিয়েছে জলের তলাতে।
এই অবস্থায় জরুরি বৈঠকে বসলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠক করলেন মুখ্য সচিব। কলকাতা পুরসভার কমিশনারকেও বৈঠকে ছিলেন। এই বৈঠকে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মানুষকে উদ্ধার, ত্রাণ মজুত রাখা সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
অন্যদিকে কলকাতা সহ শহরতলিতেও জল জমেছে। পুরসভার দ্রুত জল বার করতে কি ব্যবস্থা নিচ্ছে সেই সমস্ত বিষয়ে উঠে এসেছে বলে খবর। বিশেষ করে ভবানীপুরে যাতে জল না জমে সে বিষয়টিকে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
নবান্নে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম
প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে রাজ্য। একাধিক নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। প্রবল জলের স্রোতের কারনে মেদিনীপুরে বেশ কয়েকটি বাঁধ ভেঙেছে। যার জেরে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক অংশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এরমধ্যে আরও বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের কর্তাদের।
যদিও পুরো পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন আধিকারিকরা। ইতিমধ্যে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতে লাল সতর্কতা জারি করল নবান্ন। আগামী ২৬ তারিখ অর্থাৎ সোমবার থেকে প্রবল বর্ষণের লাল সর্তকতা জারি করল নবান্ন।
অন্যদিকে নবান্নে চালু হয়েছে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম। সেখান থেকে গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।
আরও বৃষ্টি হলে কীভাবে মোকাবিলা
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, এখনও দুর্যোগ শেষ হয়নি। সপ্তাহের শেষে বঙ্গোপসাগরের উপরে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। এমনটাই পূর্বাভাস আবহাওয়াবিদরা। আর সেই কারনে রবিবার থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ফের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
এই অবস্থায় কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে তা নিয়েই চিন্তায় প্রশাসনের আধিকারিকরা। আর এদিনের এই বৈঠকে এই সমস্ত বিষয়গুলি নিয়েই আলোচনা করেন মুখ্যসচিব। ইতিমধ্যে ৫৭৭ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।
সেখানে কমপক্ষে ৮০ হাজার মানুষকে শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ১ লক্ষ ৪১ হাজার মানুষকে সরানো হয়েছে নিরাপদ স্থানে। বৈঠকে এমনটাই রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে।