'স্ট্যান্ড করে দেখিয়ে দিলাম'! রেকর্ড ভোটে জয়ের পরেই শোভনবাবুকে বিশেষ বার্তা 'স্ত্রী' রত্নার
'স্ট্যান্ড করে দেখিয়ে দিলাম'! রেকর্ড ভোটে জয়ের পরেই শোভনবাবুকে বিশেষ বার্তা 'স্ত্রী' রত্নার
বিধানসভা ভোটের আটমাসের মধ্যেই পুরভোট! আর সেই ভোটে কার্যত সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিল শাসকদল তৃণমূল। একের পর এক ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীদের জয় জয়কার। ধারেকাছেই আসতে পারল না বিরোধীরা। কার্যত কলকাতা পুরসভা ভোটেও মুখ থুবড়ে পড়তে হল রাজ্যের প্রধান বিরোধী শক্তি বিজেপিকে। তবে এবার যে ওয়ার্ডগুলির দিকে নজর ছিল সেগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল ১৩১ নম্বর। কারন এটি ছিল কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ওয়ার্ড।
এখান থেকে জিতেই কলকাতায় মেয়র হয়েছিলেন তিনি। যদিও এখন তিনি রাজনীতি থেকে অনেকটাই দূরে। সেই ওয়ার্ডে এবার প্রার্থী শোভন পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়কেই প্রার্থী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উপর ভরসা করেই ভোট বৈতরণী পাড় করতে চান তিনি। আর সেই কথা রাখলেনও রত্না। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ওয়ার্ডে রেকর্ড ভোটে জিতলেন তিনি। বলা ভালো তা ছিনিয়ে নিলেন রত্না। যদিও আগেই বেহালা পূর্ব যা শোভনের গড় বলা হয় একটা সময়ে সেখানেই থাবা বসিয়েছেন রত্না। বিপুল ভোটে জয় পেয়ে বিধায়ক হয়েছেন।
এবার কাউন্সিলার পদে দাঁড়িয়েও মাস্টারস্ট্রোক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের। বিপুল ভোটে জয়ের পরেই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না তিনি। রত্না চট্টোপাধ্যায়ের স্পষ্ট বার্তা, স্ট্যান্ড করে দেখিয়ে দিলাম। রত্না সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন, '১০ হাজার ২০৬ ভোটে জয় এসেছে। রেকর্ড ভোটে জিতেছি।
উল্লেখ্য শোভন চট্টোপাধ্যায়ও এই কেন্দ্র থেকে২০১৫ সালে সর্বাধিক প্রায় ৬ হাজার ভোটে জয় পেয়েছিলেন। কিন্তু এদিন রত্না সেই ভোটের মার্জিনকেও ছাপিয়ে যান। আর শোভনবাবুর ওয়ার্ডে নয়া রেকর্ড তৈরি করে। আর তাই এই জয় ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষের জয় বলে জানান শোভন-পত্নী। শুধু তাই নয়, কটাক্ষের সুরে বেহালা পূর্বের বিধায়ক বলেন, ''বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় ও আমার মেয়েকে বলে গিয়েছিল, আমি নাকি ওঁকে ছাড়া স্ট্যান্ড করতে পারব না। আমি স্ট্যান্ড করে দেখিয়ে দিলাম।''
উল্লেখ্য, পুরভোটে এবার ভোটও দিতে যাননি শোভন চট্টপাধায়। বাড়িতে বসেই ভোটের দিন টিভি দেখে কাটান তিনি। কিন্তু কেন ভোট দিতে গেলেন না শোভনবাবু। কারন হিসাবে এক সংবাদমাধ্যমে প্রাক্তন মেয়র জানান, প্রার্থী পছন্দ হয়নি। আর তাই ভট দিতে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। তবে এদিন এই বিষয়টিকে তুলে এনেও কটাক্ষ করেন ভাবী কাউন্সিলর। বলেন, শোভনবাবুর প্রার্থী পছন্দ হয়নি। কিন্তু এই ওয়ার্ডের মানুষের হয়েছে।
আর তাই তাঁরা দুহাত তুলে আমাকে আশির্বাদ করেছেন বলে জানিয়েছেন। তবে এদিন জয়ের ঘোষণা সামনে আসতেই সঙ্গে সঙ্গে কালীঘাটে পৌঁছে যান রত্না। দেখা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। রত্না বলেন, কালীঘাটে অনেকে যান কালী পুজো করতে। প্রসাদ খেতে। কিন্তু আমার কাছে মমতাদিই ভগবান। উনি যেভাবে আগলে রেখেছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর তাই জেতার পরেই উনার সঙ্গে দেখা করলাম। ভালো ভাবে কাজ করতে বললেন। সেভাবেই কাজ করব বলে দাবি শোভন পত্নীর। যদিও এদিন রত্নার জয় নিয়ে তেমন কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের।