শোভনের পরিবর্তে কি রত্না! পুরভোটের আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যে জোর জল্পনা তুঙ্গে
শোভনের পরিবর্তে কি রত্না! পুরভোটের আগে পার্থর মন্তব্যে জোর জল্পনা তুঙ্গে
ক'দিন আগেই বৈশাখীর কথার প্রত্যুত্তরে রত্না জানিয়েছিলেন তিনি শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দেখে তৃণমূল কংগ্রেস করেন না। স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এবার দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও আসন্ন পুরভোটের জন্য রত্নাকে নিয়েই প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন। পার্থ বুঝিয়ে দিলেন শোভনকে নিয়ে ভাবনা আপাতত অতীত।
পুর ভোটের প্রস্তুতি বৈঠকে ইঙ্গিত পার্থর
বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি সম্প্রতি তাঁর বিধানসভা এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানে হাজির ছিলেন রত্নাও। সেই বৈঠকে পার্থ একপ্রকার স্পষ্ট করে দিয়েছেন ১৩১ নম্বরে তিনি শোভনকে নিয়ে ভাবছেন না। ওই ওয়ার্ডে তাঁকে টিকিট দেওয়ার ভাবনা নেই তৃণমূলের।
ওয়ার্ডে টিকিট বম্টন নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য
উল্লেখ্য, শোভন চট্টোপাধ্যায় নিজে বেহালা পুর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক। তবে তিনি যে ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন, সেই ওয়ার্ডটি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কেন্দ্রের অধীন। পার্থ কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করে বলেন, এবারও সবাই টিকিট পাবেন, আশা করি। টিকিট কাকে দেওয়া হবে তা ঠিক করবে দল, তবে কারও টিকিট কাটার সম্ভাবনা নেই।
তিন কেন্দ্রে প্রার্থী বদলের সম্ভাবনা, জল্পনা
তিনি বলেন প্রার্থী বদল হতে পারে তিনটি কেন্দ্রের। দুটি কেন্দ্র্রের প্রার্থী বদল হবে সংরক্ষণের জাঁতাকলে। সেই দুটি ওয়ার্ড হল ১২৫ ও ১২৭। ফলে ওই দুই ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলরদের টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড তথা শোভনের ওয়ার্ডের কথা তিনি মুখে বলেননি। তবে ইঙ্গিতে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন পরিবর্তনের কথা।
শোভনের পরিবর্তে প্রার্থী হতে পারেন রত্না!
ওই ওয়ার্ডে শোভনের পরিবর্তে প্রার্থী হতে পারেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। কোনও ঘোষণা করেননি পার্থ, তবে তাঁর কথায় এমন ইঙ্গিত মিলেছে। তিনি রত্না চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে ওয়ার্ড তৃণমূল নেতাদের কাজ করার কথা জানিয়েছেন। ওয়ার্ড সভাপতি খোকনকে পার্থ নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি তা মেনে চলার কথাও জানিয়েছেন।
রত্না থাকলে শোভন নেই, বার্তার পর.
সম্প্রতি পার্থর সঙ্গে দেড় ঘণ্টা বৈঠকের পর বৈশাখী তাৎপর্যপূর্ণ দাবি করেন, শোভনদা কী হলে কী করবেন, তা দলনেত্রীকে জানিয়ে দিয়েছেন। শোভনদা সাফ জানিয়েছেন, রত্নার সঙ্গে তিনি এক মঞ্চে রাজনীতি করবেন না। অর্থাৎ রত্না থাকলে শোভন ফিরবেন না তৃণমূলে। তবে কি বিজেপিতেই সক্রিয় হবেন তিনি? তাও কিন্তু স্পষ্ট নয়।
পার্থর ইঙ্গিতবাহী মন্তব্যের পর জল্পনা বাড়ে
এরপর পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, শোভন কবে তৃণমূলে ফিরবেন, তা তিনিই জানেন। আর জানে দল। এই ইঙ্গিতপূর্ণ কথার পরই শোভনের তৃণমূলে ফেরার জল্পনা শুরু হয়। সম্প্রতি পুরসভা ভোটের আগে বিজেপিতে তাঁকে সামনে আনার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। শোভনকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে। শোভন অবশ্য সেই ডাকে সাড়া দেয়নি।