বিজেপিতে মোহভঙ্গের পর তৃণমূলে ফিরেও মীরজাফর! ব্যর্থ মনোরথে ‘ঘরে’ ফিরলেন রাজীব
বিজেপিতে মোহভঙ্গ হওয়ার পর তৃণমূলে ঘরওয়াপসি হয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ত্রিপুরায় দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তাঁর পথ চলা শুরু হয়েছে তৃণমূলে।
বিজেপিতে মোহভঙ্গ হওয়ার পর তৃণমূলে ঘরওয়াপসি হয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ত্রিপুরায় দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তাঁর পথ চলা শুরু হয়েছে তৃণমূলে। কিন্তু যে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঁচ বছর আগে রেকর্ড ভোটে জয়ী করেছিল ডোমজুড়, সেই ডোমজুড়ই এবার তাঁকে মীরজাফর তকমা দিয়ে ফিরিয়ে দিল।
বিজেপিতে মোহভঙ্গ, ত্রিপুরায় গিয়ে তৃণমূলে রাজীব
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে পাড়ি দিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর বিজেপির টিকিটে ২০২১-এ ডোমজুড় থেকেই তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। কিন্তু 'বন্ধু' কল্যাণ ঘোষের কাছে বড় ব্যবধানে হারতে হয় তাঁকে। সেই হারের পর থেকেই তিনি তৃণমূলে ফেরার জন্য মুখিয়ে ছিলেন। অবশেষে ত্রিপুরায় গিয়ে তিনি তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন।
নিজের গড়েই অস্বস্তিতে পড়তে হল রাজীবকে
তারপর থেকে তিনি ত্রিপুরাতেই গাঁটি গেড়েছিলেন তৃণমূলের সংগঠনে কাজে। এবার বাংলায় ফিরে নিজের পুরনো নির্বাচনী ক্ষেত্রে যেতেই বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তিনি। এমনকী তাঁকে মীরজাফর তকমায় ভূষিত করা হল। যে ডোমজুড় রাজীবের গড় বলে পরিচিত ছিল। এক বছরের মধ্যেই তা কেমন বদলে গেল। শনিবারের এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়তে হয় রাজীবকে।
রাজীবের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করল?
তবে কি তৃণমূলে রাজীবের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করল? নাকি অন্য কোনও খেলা রয়েছে এর মধ্যে। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ডোমজুড়ের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ বলেন, ওই বিক্ষোভের সঙ্গে কোনও যোগ নেই তৃণমূলের। কারা বিক্ষোভ দেখালেন তিনি জানেন না। এর আগেও রাজীব ফিরতে পারেন তৃণমূলে, এমন সম্ভবনা তৈরি হওয়ায় বিক্ষোভ মিছিল হয়েছিল হাওড়ায়।
স্লোগান উঠল- রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দূর হঠো
শুক্রবার রাতে প্রয়াত হন হাওড়ার সলপ এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সুধীরচন্দ্র দাস। তিনি ডোমজুড়ের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতিও। তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানাতে যান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে এলাকাতে দেখেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীজদের একাংশ। তাঁরা স্লোগান তোলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দূর হঠো। তাঁরা প্রাক্তন বিধায়ককে মীরজাফর বলেও আওয়াজ তোলেন।
রাজীব ফিরতেই নেতার মৃত্যুকে নিয়ে রাজনীতি
রাজীব বিক্ষোভের মুখে পড়ে বাধ্য হন প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানের পরিবারের সঙ্গে দেখা না করেই ফিরে যেতে। এ প্রসঙ্গে সুধীর চন্দ্র দাসের পরিবারের তরফে জানানো হয়, এটা খুব খারাপ কাজ হয়েছে। একজন মারা গিয়েছেন, সেখানেও রাজনীতি হচ্ছে। কল্যাণ ঘোষ এ প্রসঙ্গে বলেন, তৃণমূলের এমন কোনও কর্মসূচি ছিল না। এটা মানুষের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাঁর হয়তো নির্বাচনের সময় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যবহারে ক্ষুণ্ণ হয়েই এই কাজ করে থাকতে পারেন। হাওড়ায় কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই বলে তিনি জানান।