বিজেপির হারে রাজ্য সহ সভাপতিকে কড়া বার্তা রাহুলের, বঙ্গ-নেতৃত্বে মতানৈক্য চরমে
উপনির্বাচনের আগে কোনও নেতাই ভাবেননি বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়তে চলেছে বাংলায়। কেননা ছ-মাস আগেই লোকসভা নির্বাচনে তাদের উত্থান হয়েছিল তৃণমূলকে হারিয়ে। যে তিনটে কেনেদ্রে উপনির্বাচন হয়েছিল, তার দুটিতেই বিজেপি বিরাট ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। কিন্তু সব ব্যবধান মুছে ফেলে ফের তৃণমূল জিততেই বিজেপির অন্দরে শুরু হয়েছে সংঘাত।

চন্দ্র বসু উপনির্বাচনে হার প্রসঙ্গে
বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি চন্দ্র বসু উপনির্বাচনে হার প্রসঙ্গে বলেছিলেন বাংলার জন্য পৃথক প্রচার-ভাবনা জরুরি। কেননা পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি, কৃষ্টি অন্য রাজ্যের মতো নয়। উত্তরপ্রদেশ-মধ্যপ্রদেশে যে প্রচার চালিয়ে জয় হাসিল করা যায়, তা এখানে খাটে না। বাংলা চায় না ধর্ম নিয়ে কোনও রাজনীতি হোক।

চন্দ্র বসুর ঘোর সমালোচনা রাহুলের
চন্দ্র বসুর এই পরামর্শেরই ঘোর সমালোচনা করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, উপনির্বাচনের আগে দলের মঞ্চে এসে এই পরামর্শ দেওয়া উচিত ছিল রাজ্য সহ সভাপতির। দলের বাইরে এই ধরনের মন্তব্য অনুচিত। যদি সত্যি মনে হয় দল কোনও ভুল পদক্ষেপ নিচ্ছে, তবে দলের মঞ্চেই সেই ভুল ধরিয়ে দেওয়া উচিত।

তৃণমূলের ভোট সন্ত্রাসেই এই হার!
উপনির্বাচনের পরাজয়ের জন্য তিনি ভোট সন্ত্রাসের অভিযোগও করেন। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস জেতার জন্য সব কিছুই করেছেন। প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল ভোটে জিতেছে। বাংলার মানু।ষ পরিবর্তন চায়। এই ভোটে জনমতের প্রতিফলন পড়েনি। তা হলে কালিয়াগঞ্জ ও খড়গপুরের মতো আসনে তৃণমূল জয় পেত না। কেন এমন পরাজয় হল, খতিয়ে দেখা হবে সমস্ত দিক।