দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় লটারিতে ঠিক হবে ডব্লুবিসিএস ইন্টারভিউ বোর্ড
কলকাতা, ২২ জানুয়ারি: দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় ডব্লুবিসিএস পরীক্ষার ইন্টারভিউ বা পার্সোনালিটি টেস্ট নিয়ে নড়েচড়ে বসল পাবলিক সার্ভিস কমিশন। ঠিক হয়েছে, আগে থেকে কোনও প্রার্থীর নামধাম জানানো হবে না। এমনকী, আগে ইন্টারভিউ বোর্ড ও সেই বোর্ডে কে কে ইন্টারভিউ দেবেন, তা জানিয়ে দিত পিএসসি। এ বার ইন্টারভিউয়ের দিন সকালে লটারি করে ঠিক হবে, কোন প্রার্থী কোন বোর্ডের সামনে হাজির হবেন।
আরও পড়ুন: ডব্লুবিসিএস পরীক্ষাতে ঘুঘুর বাসা, রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চায় সিপিএম
কুলীন ডব্লুবিসিএস পরীক্ষা ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএম বিধায়ক সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁর অভিযোগ ছিল, রাজ্য সরকার মনোনীত পিএসসি-র দুই সদস্য যথাক্রমে দেবপ্রিয় মল্লিক ও দীপঙ্কর দাশগুপ্ত আগে থেকে প্রার্থীদের নাম, পরিচয় জানতে চেয়েছেন। অভিযোগ ওঠে, শাসক দলের প্রতি আনুগত্য দেখালেই চাকরি দেওয়া হচ্ছে। আর্থিক লেনদেন হতে পারে বলেও আঙুল ওঠে। এই খবর গত ১৮ জানুয়ারি ওয়ানইন্ডিয়া বাংলা-তে প্রকাশিত হয়েছিল।

সংবাদমাধ্যমে খবরটি জানাজানি হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে পিএসসি। ঠিক হয়েছে, ২০১৩ সালের ডব্লুবিসিএস পরীক্ষার চারটি গ্রুপের (এ, বি, সি, ডি) ইন্টারভিউ বোর্ড আগে থেকে ঘোষণা করা হবে না। কোন প্রার্থী কোন বোর্ডের সামনে যাবেন, তাও আগে জানানো হবে না। ইন্টারভিউয়ের দিন সকালে লটারি করে ঠিক করা হবে বোর্ড আর কে কে সংশ্লিষ্ট বোর্ডে ইন্টারভিউ দেবেন। এর ফলে স্বচ্ছতা বজায় রাখা সম্ভব হবে বলে মনে করছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন।
প্রসঙ্গত, 'এ' গ্রুপের ইন্টারভিউ শুরু হচ্ছে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি। এর পর পরবর্তী গ্রুপের ইন্টারভিউগুলি নেওয়া হবে। তবে দুর্নীতির অভিযোগে ভীতি এতটাই ছড়িয়েছে যে, স্বয়ং চেয়ারম্যান নুরুল হককে বলতে হয়েছে,"নির্ভয়ে সবাই ইন্টারভিউ দিন। পিএসসি-তে এখনও যোগ্যতাই একমাত্র মাপকাঠি।"