বিজেপি ১০০ আসন জিতলে কী করবেন প্রশান্ত কিশোর, নয়া চ্যালেঞ্জে জানালেন সে কথা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের হয়ে প্রচার কৌশলের কাজ সাঙ্গ করার পরই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা হওয়ার কথা প্রশান্ত কিশোরের।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের হয়ে প্রচার কৌশলের কাজ সাঙ্গ করার পরই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা হওয়ার কথা প্রশান্ত কিশোরের। সেই তিনি ফের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে জানালেন, বিজেপি বাংলায় বিজেপি ১০০টিরও বেশি আসন জিতলে রাজনৈতিক কৌশলবিদ হিসাবে আর কাজ করবেন না। তিনি এই কাজ থেকে অব্যহতি নেবেন।
জেপি যদি বাংলায় ক্ষমতায় আসে
রাজনৈতিক কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোর আবারও তাঁর দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় ফিরে আসবেন। এক সর্বভারতীয় চ্যানেলের সাক্ষাৎকালে তিনি বলেছেন, বিজেপি যদি বাংলায় ক্ষমতায় আসে তবে তিনি এই চাকরি ছেড়ে দেবেন এবং ভিন্ন কিছু করবেন।
আই প্যাকও ছেড়ে দেবেন, অন্য কিছু করবেন পিকে
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোর বলেন, "বিজেপি যদি বাংলায় ১০০টির বেশি আসন জিততে পারে তবে আমি এই কাজটি ছেড়ে দেব। আমি আই প্যাকও ছেড়ে দেব। আমি অন্য কিছু করব, তবে ভোট কৌশলী বা প্রচার পরিকল্পনার কাজ আর করব না। আমি এই কাজ বন্ধ করে দেব।
আর কোনওদিন রাজনৈতিক প্রচারে থাকবেন না পিকে!
প্রশান্ত কিশোর বলেন, "বিজেপি যদি বাংলায় ১০০ আসন পায় আমি আজ যেমন আছি, আর তেমন আমায় দেখবেন না। আমার অস্তিত্ব থাকবে না ভোট কৌশলী হিসেবে।" তিনি আরও বলেন, "আমাকে আর কোনওদিন রাজনৈতিক প্রচারে সহায়তা করতে দেখবেন না।"
মনে করব যে আমি এই কাজের জন্য উপযুক্ত নই
প্রশান্ত কিশোর বলেন, "আমি উত্তরপ্রদেশে সাফল্য পাইনি, কিন্তু সেখানে আমরা যা চেয়েছিলাম, তা করতে পারিনি। তবে বাংলায় আমার কাছে এই অজুহাত নেই এবং দিদি আমাকে যতটা ইচ্ছা কাজ করার স্বাধীনতা দিয়েছে। আমি যদি বাংলায় তৃণমূলকে না জেতাতে পারি, বিজেপিকে না হারাতে পারি, তবে আমি মনে করব যে, আমি এই কাজের জন্য উপযুক্ত নই।
তৃণমূল যদি নির্ধারিত আসনের থেকে কম আসন পায়
প্রশান্ত কিশোর আরও বলেন, "তৃণমূল যদি নির্ধারিত আসনের থেকে কম আসন পায় বা বিজেপি বাংলায় প্রভাব বিস্তার করতে সমর্থ হয়, তবে তার দায়িত্ব তাঁরই। তৃণমূলে কিছু অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব রয়েছে এবং ফাঁকগুলি পূরণ করার কাজও চলছে। ২০২১-এর নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেতাদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বিষয়েও তিনি মুখ খোলেন।
ভোটের আগে অর্থ, পদ, টিকিটের অফার ও দলবদল
প্রশান্ত কিশোর বলেন, "তাঁর বিরোধিতা নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেতাদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার একটা কৌশল মাত্র। ভোটের আগে অর্থ, পদ, টিকিটের অফার পেলে অনেকেই যে দলবদল করে, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তৃণমূল ছেড়ে অন্যত্র চলে গেলেও দলের তেমন কোনও ক্ষতি হবে না।
বন্ধু বানানোর জন্য নয়, দলকে বিজয়ী করতে এসেছি
প্রশান্ত কিশোর বলেন, "আমি এখানে বন্ধু বানানোর জন্য আসিনি। আমি দলকে বিজয়ী করতে এখানে এসেছি। যখন আমি এই কাজ করার চেষ্টা করছি, কিছু নেতা গোষ্ঠীবদ্ধ হয়ে বিরোধিতা করেছে। দলের গোষ্ঠীকোন্দল রোধ করতে দলকে অনেক ক্ষেত্রে নতুন করে সাজাতে হয়েছে। একুশের নির্বাচনে এককাট্টা করার প্রয়োজন ছিল।
‘হাওয়া' তৈরি করতেই ২০০ আসন জয়ের অপপ্রচার
প্রশান্ত কিশোর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুনরায় বাংলার ক্ষমতায় ফেরানোর ব্যাপারে আশাবাদী। বাংলার লোকেরা তাঁর প্রতি আস্থা রেখে চলেছেন। বিজেপি এবং অমিত শাহ দাবি করছেন যে তারা বাংলায় ২০০ আসন জিতবে। এটি কেবল তৃণমূলের সমর্থকদের আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য। বিজেপির জয়ের জন্য 'হাওয়া' তৈরি করতেই এই পরিকল্পনা।