তৃণমূল কংগ্রেসকে নিয়ে জনমত জানতে নয়া পরিকল্পনা! সরাসরি ময়দানে নামছে ‘টিম পিকে’
লোকসভা ভোটে তৃণমূল হতাশাজনক ফল করার পর প্রশান্ত কিশোরাকে ভোট কৌশলীয় দায়িত্ব দিয়েছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে তৃণমূল কংগ্রেসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।
লোকসভা ভোটে তৃণমূল হতাশাজনক ফল করার পর প্রশান্ত কিশোরাকে ভোট কৌশলীয় দায়িত্ব দিয়েছিলেন খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে তৃণমূল কংগ্রেসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। 'দিদিকে বলো'র পর এবার তিনি পরিকল্পনা করেছেন সরাসরি ময়দানে নামামর।
প্রশান্ত কিশোরের নিজস্ব বাহিনী ময়দানে
অর্থাৎ তৃণমূলের গলদ ধরতে মাঠে নামবে টিম পিকে। বুথ স্তরে নেমে তৃণমূলের ব্যাপারে তথ্য-তালাশ করবে প্রশান্ত কিশোরের নিজস্ব বাহিনী। এতদিন দলের নেতা-সংগঠকদের কাজে লাগিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। জনসংযোগ ঘটানোর চেষ্টা করেছেন। কালীপুজোর পর টিম পিকে গ্রামে গ্রামে ঘুরে মানুষের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করবেন তৃণমূলের ব্যাপারে।
জনমত বুঝতে কাজে নেমেছ ‘টিম পিকে’
দলের নেতারা এতদিন জনমত বোঝার চেষ্টা করেছেন। সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট দিয়েছেন দলকে। এবার প্রশান্ত কিশোরের টিমের সদস্যরা নিজেরা ময়দানে নেমে জনমত বোঝার চেষ্টা করবেন। দল ও সরকার সম্পর্কে মানুষের কী ক্ষোভ, কোথায় ক্ষোভ তা জানার চেষ্টা চালাবেন তাঁরা। রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হবেন, যা তৃণমূলের পক্ষে আশু প্রয়োজন।
জনতার মত নিয়েই নতুন মুখের পরিকল্পনা
এতদিন দলের নেতা-মন্ত্রী, বিধায়ক-সাংসদ ও অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা এলাকা গিয় জনসংযোগ করেছেন। এবার টিম পিকে দেখবে, তাদেরকে নিয়ে কী ধরনের মতামত মানুষের। তাঁরা কী চাইছেন, জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে তাঁদের কী মত, তা খতিয়ে দেখা হবে। তারপরই পরিস্থিতি বিবেচনা করে সংগঠনে ও দলে নতুন মুখ আনার পরিকল্পনা নেওয়া হবে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে স্থির হবে কে যোগ্যতম।
কৌশল নির্ধারণে কৌশলী চাল
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটে আশাতীত ফলাফল না হওয়ায় তৃণমূল সূপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৌশল নির্ধারণে কৌশলী নিয়োগ করেছেন। ২০১৪-য় মোদীর জয়ের পিছনে যাঁর ক্ষুরধার মস্তিষ্ক ছিল, সেই প্রশান্ত কিশোরকে দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা। আর তিনি দলের দায়িত্বে এসেই নতুন নতুন কর্মসূচির আমদানি করছেন। ‘দিদিকে বলো'র পর নিজের টিমকে ময়দানে নামাচ্ছেন জনমত জানার জন্য।
পিকে-র গোপন অভিযানে তথ্য তালাশ
দিদিকে বলো কর্মসূচিকে সফল করতে পিকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন অনেককে। কোথায় গাফিলতি রয়েছে কি না, কেউ ফাঁকি মারছেন কি না, সবকিছু নখদর্পণে রাখছেন তিনি। আর যখনই কেউ শুনছেন পিকে আসছেন বা পিকের দল আসছে, সেখানে বাড়তি তাগিদ লক্ষ করা যাচ্ছে কর্মসূচি রূপায়ণে। এবার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে তিনি আর একবার তথ্যতালাশে নামছেন।
পিকে আলাদা রিপোর্ট নিয়ে মমতা সমীপে
মোট কথা পিকের দল একেবারে আলাদা করে কাজ করতে চাইছে। কোথায় গাফিলতি, কোথায় ফাঁকি রয়েছে, তা নিরূপণের চেষ্টা করছে। সেই রিপোর্ট নিয়েই পিকে আলাদা করে কথা বলবেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। নির্ধারণ করবেন দলের পরবর্তী স্ট্র্যাটেজি।
পশ্চিমবঙ্গের তিন আসনে উপনির্বাচন! দিন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন